Samakal:
2025-03-24@18:30:51 GMT

আকিজ গ্রুপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি

Published: 23rd, March 2025 GMT

আকিজ গ্রুপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি

আকিজ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্যাশিয়ার (আড়ং আউটলেট) পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ০৫ মার্চ থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড

পদের নাম: অফিসার/সিনিয়র অফিসার

বিভাগ: ফ্যাব্রিক মার্কেটিং

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় 

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: ক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট কারখানা পরিদর্শন ও সভার আয়োজন, নমুনা উন্নয়ন, ল্যাব ডিপ এবং বাল্ক অর্ডারের উপর নজর রাখা, চাহিদা অনুযায়ী সাপ্তাহিক/মাসিক/বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই 

কর্মস্থল: ঢাকা (তেজগাঁও)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে 

অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, টি/এ, চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, এলএফএ। 

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ ২০২৫

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যক্ষ্মা হইতে রক্ষা পাইতে হইবে

বাংলাদেশ যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে অনেক সাফল্য অর্জন করিলেও প্রাণঘাতী এই রোগ অদ্যাবধি নির্মূল করিতে পারে নাই। এহেন পরিস্থিতির মধ্যে যখন যক্ষ্মা নির্মূলে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ হইয়া যায় তখন নূতন উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। সোমবার সমকাল জানাইয়াছে, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নূতন সরকার ক্ষমতাসীন হইবার পর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বন্ধ হইয়া গিয়াছে ইউএসএআইডির অর্থায়ন। ইহার নেতিবাচক প্রভাব পড়িয়াছে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়। বন্ধ হইয়া গিয়াছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত রোগ শনাক্তকরণ, গবেষণা ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড। হাসপাতালে মিলিতেছে না ঔষধপ্রতিরোধী যক্ষ্মার সেবা। ইহাতে যক্ষ্মার নূতন ঝুঁকিতে পড়িতে যাইতেছে বাংলাদেশ। এহেন উদ্বেগের কারণ হইল, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে এখনও শনাক্তের বাহিরে ১৭ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী। এই সকল রোগী নিজেদের অজান্তেই অতি সংক্রামক যক্ষ্মার জীবাণু প্রসারে ভূমিকা রাখিতে পারেন। অন্যদিকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বন্ধের কারণে নূতন রোগী শনাক্ত কার্যক্রমও এক প্রকার বন্ধ। যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির বাস্তবায়ন সংকট এমন সময়ে শুরু হইল যখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলিতেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করিতে হইলে শনাক্তের বাহিরে থাকা রোগীদের চিহ্নিত করিয়া দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনিতে হইবে। তদুপরি মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতারও অভাব রহিয়াছে। যক্ষ্মার চিকিৎসা বিনামূল্যে পাওয়া 
যাইবার তথ্যও যখন অনেকের রোগটির বিপদ সম্পর্কে হুঁশ ফিরাইতে পারে নাই, তখন বিনামূল্যের চিকিৎসা বন্ধ হইবার পরিণাম কী হইতে পারে, উহা কল্পনা করা কঠিন নহে। 

আমরা জানি, যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছয় মাস নিয়মিত ঔষধ সেবন করিতে হয়। নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়মিত এবং পূর্ণ মেয়াদে ঔষধ না খাইলে যক্ষ্মার জীবাণু ওই ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়িয়া তোলে। বাংলাদেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের অবহেলা ও অসচেতনতায় এই ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা এমডিআর টিবি ক্রমবর্ধমান বলিয়া সরকারি-বেসরকারি উৎসের সকল তথ্যই বলিতেছে। বিদেশি সহায়তা বন্ধের ফলে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী বৃদ্ধি পাইলে পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ গ্রহণ করা বিচিত্র কিছু নহে। কারণ তখন প্রচলিত ঔষধে সচেতন রোগীদেরও যক্ষ্মা নিরাময় কঠিন হইতে পারে।

শুধু উহা নহে, সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যক্ষেত্রে উহার প্রভাব ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হইতে পারে। দেশের অর্থনীতির জন্যও যে ইহা সুখকর কোনো সংবাদ নহে– এই কথাও বলা প্রয়োজন। স্বীকার করিতে হইবে, শারীরিক পুষ্টিহীনতার সহিত যক্ষ্মার একটা নিবিড় সংযোগ রহিয়াছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসও এই রোগ সম্প্রসারণের অন্যতম কারণ। এই কারণে সাধারণত সমাজের নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়, যাহাদের উপর শিল্প-কৃষিসহ রাষ্ট্রের প্রায় সকল উৎপাদনমূলক কর্মকাণ্ড নির্ভরশীল। অতএব যক্ষ্মা হইতে বিশেষত শ্রমজীবী মানুষদের রক্ষার্থে কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন জরুরি।
যদিও জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. জাহাঙ্গীর কবির অনেকটা অভয়দানের সুরে বলিয়াছেন, এনটিপি মূলত গ্লোবাল ফান্ডে চলে। তাই শুধু ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধে সরকারি কোনো প্রকল্পে প্রভাব পড়িবে না। তথাপি তাঁহার এই কথায় আশ্বস্ত না হইবার কারণ যথেষ্ট বিরাজমান। এমন অভিযোগ অমূলক নহে যে, প্রধানত দরিদ্ররা আক্রান্ত হয় বলিয়া এই খাতে রাষ্ট্রের নিজস্ব সম্পদ বরাদ্দে মহলবিশেষের কার্পণ্য থাকিতে পারে। তাই আমরা মনে করি, এখনই স্থগিত যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রম সচল করিতে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। অন্য উৎস হইতে সহায়তা পাইতে হইলেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনই কার্যক্রম আরম্ভ করিতে হইবে। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা সমাধানে সরকার, তৎসহিত বেসরকারি খাতকেও অগ্রসর হইতে হইবে। মনে রাখিতে হইবে, যক্ষ্মা 
নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাইবার বিষয়ও 
নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ