নাসির-তামিমার মামলায় সাক্ষ্য পেছালো
Published: 23rd, March 2025 GMT
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৬ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২৩ মার্চ) মামলাটিতে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমানকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসেননি।
এজন্য ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত ১৬ জুন জেরার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম কিরণ জানান, এদিন তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসেননি। এজন্য জেরা হয়নি। আগামি ১৬ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে এদিন নাসির হোসাইন আদালতে হাজিরা দেন। তবে তামিমা কর্মস্থল সৌদিয়া এয়ার লাইন্সে থাকায় এবং ছুটি না পাওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৪ জুন মিজানুর রহমান খান সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নি.
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান নিয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
এর আগে, এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বেলা ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার
খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।
তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী