জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে টাইমফ্রেম দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যারাই বিরোধিতা করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপির যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।”

শনিবার (২২ মার্চ) সিলেটে আয়োজিত এনসিপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্টসহ বিভিন্ন মহলের চাপ প্রয়োগ বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা উচিত হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত, সেনাবাহিনীর চাপ প্রয়োগ বিষয়টি নিয়ে কোনো কনফ্লিক্ট সৃষ্টি হবে না।”

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনা খুবই ‘গণতান্ত্রিক’, বললেন বিএনপি নেতা

দল হিসেবে আ.

লীগের অপরাধের বিচার করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর কাজ যে করবে, তাদের শক্ত হাতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের আন্দোলন চলমান থাকবে।”

সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছিল এনসিপি আয়োজিত সিলেটে প্রথম কোনো অনুষ্ঠান। এতে নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী প্রধান অতিথি ও  কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক এহতেশামুল হক, অর্পিতা শ্যামা দেব, অনিক রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার নুরুল হুদা জুয়েল বক্তব্য দেন। ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থান আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/নূর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ এনস প র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা হতাশাজনক

সাভারে চলন্ত বাসে যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে আবার। আবারও আমাদের সামনে দেশের গণপরিবহনব্যবস্থার নিরাপত্তাঘাটতির বাস্তবতা উঠে এল। ১১ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন ব্রিজের ওপর সাভার পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে এবং সোয়া ১২টার দিকে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় রাজধানী পরিবহনের বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিন নারী যাত্রীর স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। এর আগে গত ২ মার্চ দুপুরে দিকে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ৪ এপ্রিল একই এলাকায় ইতিহাস পরিবহনের আরেকটি চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এই ধারাবাহিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে সাভার ও আশপাশের এলাকায় চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা বাসে উঠে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে মূল্যবান সামগ্রী লুট করছে। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে এবং গণপরিবহনে যাতায়াতের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। সাভারে সংঘটিত ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলোতে দেখা গেছে, ছিনতাইকারীরা বিশেষভাবে নারী যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে, যা নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির খুব কমই দেখা যায়। এতে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা জরুরি। এ ছাড়া বাসচালক ও সহকারীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, অনেক সময় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

সাভার ও আশপাশের এলাকায় চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। বাসে নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা এবং সন্দেহভাজন যাত্রীদের তল্লাশি করা হোক। এ ছাড়া বাসচালক ও সহকারীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং নিশ্চিত করা হোক। এ ধরনের ঘটনা রোধে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বাসমালিকদের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সাভারে আমরা আর কোনো বাস ডাকাতির ঘটনা দেখতে চাই না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ