বিশ্বের সবচেয়ে খাটো ছাগল ‘কুরুম্বি’
Published: 23rd, March 2025 GMT
ছোট্ট একটি ছাগল। নাম ‘কুরুম্বি’। কালো রঙের। দল বেঁধে ঘুরলেও আলাদা করে নজর কাড়ে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার কুরুম্বিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কুরুম্বি যেনতেন ছাগল নয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো ছাগল।
কুরুম্বির মালিক পিটার লেনু। পেশায় তিনি কৃষক। তাঁর পরিবার পুরোদস্তুর কৃষিজীবী। থাকেন ভারতের কেরালায়। তাঁর খামারে গরু, ছাগলসহ নানা গৃহপালিত প্রাণী রয়েছে। পিটার জানান, ছোটখাটো কুরুম্বি তাঁর খামারের বিশেষ একটি ছাগল। এটি কানাডীয় পিগমি জাতের।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, কুরুম্বি বছর চারেকের একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ছাগল। প্রাকৃতিকভাবে জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে। তবে প্রাণীটির উচ্চতা মাত্র ১ ফুট ৩ ইঞ্চি বা প্রায় ৪০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। সেই হিসাবে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো জীবিত ছাগল।
কানাডীয় পিগমি জাতের ছাগল সাধারণত ছোটখাটো হয়। তবে এ জাতের ছাগলগুলো বেশ মোটাসোটা দেহের অধিকারী। উচ্চতায় ৫৩ সেন্টিমিটারের বেশি খুব একটা হয় না। সেই তুলনায় কুরুম্বির উচ্চতা বেশ কম। ২০২১ সালের কোনো এক সময় পিটারের খামারে ছাগলটির জন্ম।
কুরুম্বির চার মাস বয়সের একটি শাবক রয়েছে। হাসিমুখে পিটার বলেন, কুরুম্বির সংসার ‘বড়’ হচ্ছে। ছাগলটি আবার সন্তানসম্ভবা।
পিটার জানান, নিজে দেখতে ছোটখাটো হলেও কুরুম্বি স্বাভাবিক উচ্চতার প্রাণীদের সঙ্গে চলাফেরা করতে ও খেলতে পছন্দ করে। ৩টি পুরুষ ছাগল, ৯টি স্ত্রী ছাগল আর ১০টি ছাগলছানার সঙ্গে থাকে সে। এ ছাড়া খামারে গরু, হাঁস–মুরগি রয়েছে।
পিটারের খামারে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল কুরুম্বি। একদিন খামারে ঘুরতে আসা একজন অতিথি পিটারের কাছ থেকে কুরুম্বির উচ্চতার বিষয়ে জানতে পেরে তাঁকে (পিটার) গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। বলেন, ছাগলটি কম উচ্চতার জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারে।
পরামর্শটি পিটারের মনে ধরে। তিনি যোগাযোগ করেন। পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে ছাগলটির উচ্চতা মাপেন, বয়স যাচাই করে আবেদন করেন। এরপর বিস্তারিত যাচাই–বাছাই শেষে কুরুম্বিকে নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
এখন পিটার বলছেন, তিনি নিয়মিত কুরুম্বির যত্ন নেবেন। সেই সঙ্গে ছাগলটির অনাগত শাবকের উচ্চতা কত হয়, সেটা দেখতে তিনি মুখিয়ে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ গলট
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।