জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় ২৭ মার্চ
Published: 23rd, March 2025 GMT
অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের রায়ের তারিখ আগামী ২৭ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত গত ২০ মার্চ দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। মামলায় জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হলো।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক মো.
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
গ্রেপ্তারের সময় র্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল। এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। জব্দ করা হয় তার ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব।
অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগদানের পর এবারই প্রথম শিকাগোতে খেলতে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দেখতে শিকাগো ফায়ারের স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন রেকর্ড ৬২ হাজার ৩৫৮ দর্শক।
ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধে মেসি এবং তার দল মায়ামি পারেনি নিজেদের মেলে ধরতে। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ফ্রি কিকে দারুণ শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রসবারের বাধায় গোল পাননি। এছাড়া লুইস সুয়ারেজ গোল করেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় গোল। তাতে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় মায়ামি ও শিকাগোর ম্যাচ।
টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে মেসির মায়ামি কিছুটা ব্যাকফুটে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারালেন তারা। ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে আছে মায়ামি। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে মায়ামির পয়েন্ট ১৫। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কলম্বাস।
এই ম্যাচের তিন মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট আঙুল ছুঁয়ে ফিরিয়ে দেন গোল রক্ষক ক্রিস ব্রাডি। প্রথমার্ধে এরপর তেমন জোরাল আক্রমণ হয়নি। দুই দলের ফরোয়ার্ডরাই ছিলেন নিষ্প্রভ। তাতে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। মেসির নেওয়া শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে ৮৫ মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক পায় মায়ামি। এবারও মেসির শট ক্রসবারের বাধায় জালে জড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মায়ামি ও মেসিকে।
একেবারে শেষ সময়ে মেসির বাড়ানো পাসে জাল খুঁজে পান সুয়ারেজ। কিন্তু অফসাইডে তার গোল বাতিল করেন রেফারি। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
ঢাকা/ইয়াসিন