প্রযুক্তি-নির্ভর প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরনের অফিস ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন তিনটি অনলাইন ইউপিএস।

শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ সমৃদ্ধ আর্ক ব্র্যান্ডের এই অনলাইন ইউপিএস তিনটির মডেল হলো যথাক্রমে ইউওএন১, ইউওএন২ এবং ইউওএন৩। কম্পিউটার, সার্ভার, মেশিন এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদানে ওয়ালটনের এই অনলাইন ইউপিএসগুলো আদর্শ। 

উল্লেখ্য, অনলাইন ইউপিএস এমন একটি ডিভাইস যা মূলত নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই নিশ্চিত করে। এটি এসি কারেন্টকে ডিসি কারেন্টে পরিণত করে এবং পুনরায় এসি কারেন্টে পরিণত করে ইউপিএস এর সাথে সংযুক্ত যন্ত্রপাতিতে সরবরাহ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে কোনো রকম বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই একটি স্থিতিশীল পাওয়ার সাপ্লাই নিশ্চিত করা যায়। এজন্য ভারী প্রযুক্তিপণ্য বা প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করা হয় অনলাইন ইউপিএস। 

আরো পড়ুন:

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা
অষ্টম রাউন্ড শেষেও শীর্ষে মিনহাজ-সুব্রত

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা
সাত রাউন্ড শেষেও শীর্ষে মিনহাজ-সুব্রত

ওয়ালটনের আর্ক ব্র্যান্ডের নতুন ইউপিএস মডেলগুলো সরাসরি ব্যাটারি ও রেকটিফায়ার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে সংযুক্ত ডিভাইসগুলোতে কোনো প্রভাব পড়ে না। এতে ২২০/২৩০ ভোল্টের স্থিতিশীল আউটপুট নিশ্চিত করা হয়, যা কম্পিউটার, সার্ভার, মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইউওএন১ মডেলটি ১০০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার বা ৯০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন, যা ছোটো এবং মাঝারি পরিসরে ব্যবহারের জন্য আদর্শ। এটি অফিস এবং বাসার কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির জন্য উপযুক্ত। ইউওএন২ মডেলটি ৩০০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার বা ২৭০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন যা বড় প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটি একাধিক ডিভাইস পরিচালনায় সক্ষম। বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ডাটা সেন্টারের জন্য উপযুক্ত ইউওএন৩ মডেলটি ৬০০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার বা ৫৪০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন যা ভারী লোড বহনে সক্ষম। এছাড়াও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো বেশি লোডের ইউপিএসও তৈরি করে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। 

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, “ওয়ালটনের নতুন এই অনলাইন ইউপিএসগুলো আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি যা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে তাদের মূল্যবান যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখবে। উন্নতমানের ব্যাটারি, নিখুঁত ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ, এলসিডি ডিসপ্লে এবং মাল্টিপল কানেক্টিভিটি অপশনের কারণে এই ইউপিএসগুলো সব ধরনের বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আদর্শ।”

তিনি জানান, ওয়ালটনের নতুন এই ৩ মডেলের অনলাইন ইউপিএসে ১০% বিশেষ ছাড় চলছে। ইউওএন১, ইউওএন২ এবং ইউওএন৩ মডেলের অনলাইন ইউপিএসের রেগুলার মূল্য যথাক্রমে ২৯ হাজার ৭৫০, ৫৪ হাজার ৮৫০ এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। 

ওয়ালটনের নতুন এই অনলাইন ইউপিএস সিরিজ এখন ওয়ালটন প্লাজা ও ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.

com/products/power/online-ups) থেকে ক্রয় করা যাবে। প্রতিটি মডেলের সাথেই থাকছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি যা গ্রাহকদের জন্য দিচ্ছে বাড়তি নির্ভরযোগ্যতা।

ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ য ৎ সরবর হ ন শ চ ত কর র নত ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গরমে লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। যদি লোডশেডিং হয়, আগে ঢাকা শহরে হবে। পরে দেশের অন্য জায়গায় হবে। আগের মতো শুধু গ্রামে হবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুইটি কারণে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। উৎপাদন কম হলে যদি লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন সেটি লোডশেডিং। আর ঝড় বৃষ্টিসহ কোনো কারণে যদি ফিউজ চলে যায়, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। রমজানের মতো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আমরা চেষ্টা করবো। তবে লোডশেডিং যদি হয়, এমন হবে না যে শুধু গ্রামে লোডশেডিং হবে। ঢাকাতে প্রথমে লোডশেডিং হবে। পরে অন্য জায়গায় হবে।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। এ জন্য আমরা এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখতে বলেছি। এটা রাখতে পারলে এক-দুই হাজার চাহিদা কমবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

খাল-নালায় ময়লা ফেললে জেল-জরিমানা
এবার চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে তা একটা বড় ফ্যাক্টর। তবে এই দুর্ভোগ এবার অনেকটা লাঘব হবে।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটা জিনিস দেখে খারাপ লাগছে, কিছুদিন আগে খাল পরিষ্কার করা হলেও সেখানে এখন আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে এই কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারি নাই। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। মানুষকে সচেতন করা হবে। ময়লা রাখার বিন দেওয়া হবে। এরপরেও যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হবে।

কক্সবাজার সড়ক ছয় লেন হবে
এদিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এই মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে। তবে তা সময়সাপেক্ষ। এখানে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব মিলিয়ে দুই-তিন বছরের আগে হবে না। তবে এই সময় সড়কে দুর্ঘটনারোধে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। সতর্ক করে সাইন পোস্ট দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। চালকদের সচেতন করা হবে।

এই সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এরপর ডিসেম্বরে ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে। আগামী জানুয়ারিতে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি করার কথা রয়েছে।

রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা
এদিকে ব্রিফিংয়ের সময় রেলওয়ে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা। সিটি করপোরেশন রাস্তা করতে চাইলে, ওয়াসা পানি দিতে চাইলেও রেল নিতে চায় না। তবে এখন থেকে তা হবে না। সিটি করপোরেশন সিআরবিতে রাস্তা করে দেবে। ওয়াসা পানি সরবরাহ করবে। রেলের কাজ হচ্ছে ট্রেন পরিচালনা করা। প্রতিনিয়ত সেবার মান বাড়ানোর কাজ করতে হবে। রাস্তা করা ও পানি সরবরাহ করা রেলের কাজ নয়। এসব করতে গিয়ে রেলের দক্ষতা নষ্ট হয়। অর্থের অপচয় হয়।

রেল উপদেষ্টা বলেন, রেলের এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ হয়। এভাবে হলে চলবে না। এটি দুই টাকার নিচে নিয়ে আসতে হবে। আর ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচ সংকটে সরকার কাজ করছে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউক্রেনে গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
  • ধরা পড়ছে না ইলিশ, জেলেদের দিন কাটছে অর্থকষ্টে
  • আদানির সরবরাহ কমে লোডশেডিং বেড়েছে
  • পানি নেই ঝিরি-ঝরনায় সংকটে দুর্গম গ্রামবাসী
  • আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু
  • আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, লোডশেডিং বাড়তে পারে
  • গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
  • যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়বে আইফোনের দাম
  • রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস কতদূর
  • গরমে লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা