Samakal:
2025-04-14@06:10:56 GMT

চারদিকে এত এত পুরুষের গল্প

Published: 23rd, March 2025 GMT

চারদিকে এত এত পুরুষের গল্প

জয়া আহসান। বরেণ্য অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আসছে ২৮ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে জয়া অভিনীত নতুন সিরিজ ‘জিম্মি’। প্রথমবার ওটিটিতে ‘২ষ’ সিরিজে জয়া হাজির হয়েছিলেন অতিথি চরিত্রে, ডাইনিরূপে। জিম্মিতে এবার তাঁকে দেখা যাবে রুনা লায়লা নামে সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারীর ভূমিকায়। এই সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে– 
শনিবার প্রকাশ হলো ‘জিম্মি’র ট্রেলার। জানতে চাই ‘জিম্মি’র গল্পটা কী ধরনের?
জয়া আহসান:জিম্মি’ একটি সামাজিক, হিউমারধর্মী ও বাস্তবসম্মত গল্প। এই গল্পে এমন কিছু বিষয় আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। যদিও গল্পটি কোনো শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়। তবুও এতে কিছু ঘটনাপ্রবাহ আছে, যা দর্শককে সচেতন করবে এবং জীবন সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে। সিরিজের গল্পে দেখা যাবে, রুনা লায়লা সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারী। যে ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায় না। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী রুনা একদিন অফিসের স্টোররুমে বাক্সভর্তি টাকা পায়। হঠাৎ পাওয়া এই টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে 
জিম্মি হয়ে পড়ে সে।

এই সিরিজে আপনি অভিনয় করেছেন রুনা লায়লা চরিত্রে। এই নামটি শুনলেই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর কথা মাথায় আসে।
জয়া আহসান: হ্যাঁ। এটি আমার কাছেও মনে হয়। নাটক, সিনেমা বা ওটিটি– যে কোনো গল্পেই চরিত্রের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, যা অনেকেই অবহেলা করেন। কিন্তু এই সিরিজের নির্মাতা আশফাক নিপুণ এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন এবং পরিচিত ও শক্তিশালী একটি নাম বেছে নিয়েছেন, যা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। চলতি বছরের শুরুতে সিরিজটির শুটিং হয়। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘জিম্মি’। এর আগে অন্তরাতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেলেও জিম্মি বাংলাদেশে অভিনয় করা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। নিপুণের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, দারুণ এক গল্পের সিরিজ। সব দিক থেকে এটি আমার কাছে স্পেশাল।

ঈদ উৎসবে নিজের প্রথম সিরিজ নিয়ে আসতে পেরে কেমন লাগছে?
জয়া আহসান: ঈদের উৎসবে দর্শক সিরিজটি দেখবে, এটি খুব ভালো লাগার। এতে আমার সঙ্গে ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন। হইচই প্ল্যাটফর্ম থেকে সিরিজটি আসছে। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক ভালো কাজ হয়েছে, দর্শকও পছন্দ করেছে। আশা করছি, এবারও দর্শকের ভালো লাগবে। এখানে কাজ করে ব্যক্তিগতভাবে আনন্দ পেয়েছি। বাকিটা দর্শকের ওপরে। দর্শককে এটুকু বলব, জিম্মি ভালো লাগলে সবাইকে দেখার জন্য বলবেন।

আশফাক নিপুণের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
জয়া আহসান: নির্মাতা হিসেবে নিপুণ তো পরীক্ষিত। সব নির্মাতার আলাদা সিগনেচার থাকে। নিপুণের সিগনেচারও আলাদা। ও যেভাবে বলে, সেভাবে যদি আর্টিস্ট শোনে, তাহলে আর্টিস্ট এবং প্রজেক্ট দুটোর জন্যই ভালো।

অনেক বছর ধরেই দেশে ওটিটির কাজ হচ্ছে। আপনার এত দেরি হলো কেন?
জয়া আহসান:একটা ভালো কাজের অপেক্ষায় ছিলাম। চারদিকে এত এত পুরুষের গল্প। যেমন দেখুন, এবারের ঈদে দেশের সিনেমা হলগুলোতে যেসব সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সবকটিই পুরুষকেন্দ্রিক। নারীকেন্দ্রিক গল্পও হওয়া উচিত। নিপুণ একটি নারীকেন্দ্রিক গল্প বানাতে চেয়েছে এবং একটি চরিত্র তৈরি করতে চেয়েছে, এটাই আমাকে আগ্রহী করেছে। আমি যে কোনো কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় মাথায় রাখি। সেটি হলো গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। ‘জিম্মি’র ক্ষেত্রে সব মনমতো মিলে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে আমার ওয়েব সিরিজের শুরুটা করছি হইচইয়ের সঙ্গে, মুক্তি পাবে ঈদে। সব মিলিয়ে আমার জন্য বিষয়টি বেশ রোমাঞ্চের। 

আপনার অভিনীত সিনেমাগুলোর কী খবর?
জয়া আহসান:ভারতে ‘ডিয়ার মা’, ‘কালান্তর’, ‘ওসিডি’ করেছি। এসব সিনেমা মুক্তির বিষয়ে প্রযোজকরা বলতে পারবেন। আমি তো কাজ সম্পন্ন করে রেখেছি। এর মধ্যে ‘ডিয়ার মা’ হয়তো শিগগিরই আসবে। এ ছাড়া দেশে একাধিক ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

ফিল্মফেয়ারে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব জিতলেন.

..
জয়া আহসান: ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার অ্যান্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। এই স্বীকৃতির জন্য ফিল্মফেয়ারের পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ফিল্মফেয়ার সব সময় আমাকে বিশেষ অনুভূতি দিয়েছে। এটি আমার দীর্ঘ যাত্রায় একটি নতুন সংযোজন হয়ে থাকবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত

প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।

শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।

শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।

প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।

পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।

বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।

শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত