রেডমি সিরিজের নতুন দুই ফোন আনলো শাওমি
Published: 23rd, March 2025 GMT
গ্লোবাল টেক জায়ান্ট শাওমি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এলো বহুল প্রতীক্ষিত নতুন দুটি স্মার্টফোন- শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো এবং শাওমি রেডমি এ৫। সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ‘সেলিব্রেটিং ঈদ উইথ মি’ আয়োজনের মাধ্যমে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী নতুন এই স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানটিতে জিয়াউদ্দিন চৌধুরী প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং প্রযুক্তি খাতে শাওমির সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করেন। সেই সাথে তিনি তার বক্তব্যে শাওমি ফ্যানদের প্রতি কোম্পানিটির প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটিতে স্মার্টফোন খাতে শাওমির অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রদর্শিত করার পাশাপাশি কীভাবে স্মার্টফোন বাজারে শাওমি মানদন্ডের পরিমাপক হয়ে উঠেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। শাওমি পরিবারের সদস্য ছাড়াও আয়োজনটিতে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রেমী, সাংবাদিক ও শাওমি ফ্যানরা অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী স্মার্টফোন আনলো অনার
নতুন দুই ফোন আনলো আইটেল
অনুষ্ঠানে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নতুন দুটি স্মার্টফোন উন্মোচন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শাওমি গ্রাহকদের ‘ঈদ উইথ মি’ উদযাপনে নতুন দুটি ফোনের উন্মোচন বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অত্যাধুনিক ফিচার-সমৃদ্ধ নতুন ফোন দুটির মাধ্যমে শাওমি ফ্যানরা এই ঈদে আরো ভালোভাবে তাদের আনন্দময় মুহূর্ত ধারণ ও উপভোগ করে নিতে পারবেন বলেই আমরা মনে করি।”
তিনি আরো বলেন, “শাওমি সবসময় গ্রাহকদের চাহিদানুযায়ী হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো এবং শাওমি রেডমি এ৫ বাজারে আনলো, যা অসাধারণ ক্যামেরা প্রযুক্তি, ইমার্সিভ ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির সাথে দেবে দুর্দান্ত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।”
শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো ডিভাইসটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাবহারকারীদের দেবে প্রিমিয়াম ক্যামেরা অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটিতে আল্ট্রা-ক্লিয়ার ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ২০০-মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা এবং হাই রেজোলিউশন সেলফির জন্য রয়েছে ৩২-মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। ডিভাইসটির ক্যামেরায় অত্যাধুনিক এআই টুল ব্যবহার করে সহজেই চমৎকার সব নান্দনিক ছবি পাওয়া যাবে। আকর্ষণীয় ক্যামেরার পাশাপাশি স্মার্টফোনটির ৬.
সার্বিক পারফরম্যান্স ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো-এ প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেকের হেলিও জি-১০০ আল্ট্রা চিপসেট। শক্তিশালী এই চিপসেট গ্রাহকদের মাল্টিটাস্কিং, গেমিং এবং স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরো দুর্দান্ত ও প্রাণবন্ত। এছাড়াও ডিভাইসটির অন্যতম আকর্ষণ এর শক্তিশালী ৫৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াটের টার্বো চার্জিং প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে চমৎকার ব্যাটারি ব্যাকআপের পাশাপাশি রয়েছে মাত্র ৭২ মিনিটে ১০০% চার্জ হয়ে যাওয়ার সুবিধা।
ফোনকে স্ক্র্যাচমুক্ত রাখতে ও বাড়তি সুরক্ষা দিতে ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস ২ ও ওয়েট টাচ টেকনোলজি। এছাড়া ধূলাবালি ও পানির ছিটেফোঁটা থেকে সুরক্ষা পেতে এতে আছে আইপি ৬৪ রেটিং, যা দৈনন্দিক জীবনে স্মার্টফোন ব্যবহার আরো সহজ ও নিশ্চিন্ত করে তুলবে। মিডনাইট ব্ল্যাক, ওশ্যান ব্লু আর অরোরা পার্পল- এই তিনটি চমৎকার কালারে পাওয়া যাবে শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো।
সাশ্রয়ের মধ্যে সেরা ফিচার ও কার্যকরী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা প্রদানে শাওমি রেডমি এ৫ অন্যতম। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটআপ, যার মাধ্যমে ফটোপ্রেমীরা পেয়ে যাবেন স্পষ্ট ও ডিটেইলড ছবি। এছাড়াও স্মার্টফোনটির ৬.৮৮-ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে এবং ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ব্যবহারকারীদের দেবে মসৃণ এবং ইমার্সিভ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটির নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসক টি৭২৫০। পাশাপাশি এর ৫২০০এমএএইচ ব্যাটারি ও ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ক্যাপাসিটি ইউজারকে দেবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ। মিডনাইট ব্ল্যাক, স্যান্ডি গোল্ড, লেক গ্রীন ও ওশ্যান ব্লু- এই চারটি আকর্ষণীয় কালারে পাওয়া যাবে শাওমি রেডমি এ৫।
শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো স্মার্টফোনটি ৮ জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। অপরদিকে শাওমি রেডমি এ৫ স্মার্টফোনটি ৪ জিবি+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। স্মার্টফোন দুটি দেশব্যাপী শাওমির যেকোনো অনুমোদিত স্টোর থেকে কেনা যাবে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ন ট ১৪ প র অন ষ ঠ ন নত ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি সন্তুষ্ট হবেন না কেন
লিওনেল মেসি ছিলেন না, লাওতারো মার্তিনেজও ছিলেন না। এমনকি পাওলো দিবালাও নয়। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ হয়ে উঠেছিল অনেকটাই ধারহীন। কিন্তু মন্টেভিডিওতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ১৩তম ম্যাচে মেসি–মার্তিনেজের অভাব কি আর্জেন্টিনা খুব বেশি টের পেয়েছে?
বেলা শেষে ফলই যখন বড় হয়ে দাঁড়ায়, তখন উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নতুন চেহারার আক্রমণভাগকে দশে দশ তো দিতেই হবে। হুলিয়ান আলভারেজ, থিয়াগো আলমাদা আর গিলিয়ানো সিমিওনেদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছে ১–০ গোলের জয়। গোল করেছেন আরমাদা, অ্যাসিস্ট করেছেন আলভারেজ। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি তাই আনন্দের সঙ্গেই বললেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি!’
স্কালোনি কেন সন্তুষ্ট হবেন না, যখন তাঁর দল বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও (৫৫%–এর বিপরীতে ৪৫%) ম্যাচে উরুগুয়ের চেয়ে শট নিয়েছে দ্বিগুণ (৬টির বিপরীতে ১২টি)। সবচেয়ে বড় কথা, ৬৮ মিনিটে আলভারেজের বাড়ানো বল ধরে আলমাদার মতো তরুণ যেভাবে তাক লাগানো এক গোল করেছেন।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আর্জেন্টাইন কোচ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি! শুধু জয়ের জন্য নয়; বরং ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, তার জন্য। আমরা পরিপূর্ণ একটা ম্যাচ খেলতে পেরেছি। চাপ সয়ে নিতে পেরেছি। যখন আক্রমণাত্মক খেলার দরকার ছিল, খেলেছি। যখন রক্ষণাত্মক দরকার ছিল, সেটাও খেলেছি।’
মেসি–মার্তিনেজের মতো বড় নামের ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের না থাকায় ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও ভাবনা ছিল স্কালোনির। তবে এটি তরুণদের নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর ভালো সুযোগ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তখন। উরুগুয়ের মাঠে আলমাদারা সেটি সত্যিই করে দেখানোর পর স্কালোনি মনে করিয়ে দিলেন, সবচেয়ে বড় নাম তো আর্জেন্টিনাই, ‘আমাদের জাতীয় দল এমন একটি দল, কেউ একজন না থাকলে আরেকজন সেখানে ভূমিকা রাখে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল না, তারপরও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছি। হতে পারে পারফরম্যান্স (গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের তুলনা) ভিন্ন। কিন্তু দলটা মাঠে নামে অন্য সব নামকে এক পাশে সরিয়ে রেখেই।’
গত অক্টোবরে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬–০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল করেছিলেন আলমাদা। অলিম্পিক লিওঁতে খেলা এই ফরোয়ার্ড এবার তারকা ফরোয়ার্ডদের অনুপস্থিতিতে গোল করে দলকে জেতানোর পর বললেন, ‘আমি বলটা নিলাম, মারলাম, সৌভাগ্যক্রমে জালে চলে গেল।’
ম্যাচে তিনটি শট নিয়ে দুটিই লক্ষ্যে রাখতে পারা এই ফরোয়ার্ড কিছু একটা করে দেখাতে যে তেতে ছিলেন, জানালেন সেটাও, ‘আমি কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। চেয়েছি, কী কারণে আমি স্কোয়াডে আছি, সেটা যেন দেখাতে পারি।’
আলমাদার দলের পরের ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বুধবার ব্রাজিলের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ড্র করলেই ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলবে আর্জেন্টিনা।