আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল র‍য়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। সেই ম্যাচটা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বমী স্টেডিয়ামে। শনিবার (২২ মার্চ) ১৮তম আসরে এসে আবারও শুরুর ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হলো এই দুই দলের মাঝে। তবে কলকাতা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়, গতকালের ভেন্যু ছিল ইডেন গার্ডেন্স।

টস জিতে আরসিবি কাপ্তান রজত পাতিদাল কেকেআরকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে কলকাতা। জবাবে ১৬.

২ ওভার খেলেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে ফেলে বেঙ্গালুরু। হেসেখেলে তুলে নেয় ৭ উইকেটের জয়।

আরো পড়ুন:

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসল ইডেনে

‘তুমি আর নেই সে তুমি’ - আনুশকার রহস্যময় পোস্ট

ম্যাচ শুরুর আগে ইডেনে হয়ে যায় চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বসেছিল চাঁদের মেলা। দিশা পাটানির নাচ ও শ্রেয়া ঘোষালের নাচে গানে মাতিয়ে দেন গোটা স্টেডিয়াম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা ও কেকেয়ার স্বত্বাধিকারী শাহরুখ খান। বলিউড বাদশাহর খুনসুটি ও নাচের সঙ্গী ছিলেন বিরাট কোহলি ও রিংকু সিং।

ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর শুরুটা দারুণ করেছিল। প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারালেও, রানের চাকা চলতে থাকে কলকাতার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে কলকাতাকে এগিয়ে নেন সুনীল নারিন ও অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। এ দুজন মিলে গড়েন ৫৫ বলে ১০৩ রানের জুটি। রাহানে ৫৬ করেন রান অন্যদিকে নারিনের সংগ্রহ ছিল ৪৪ রান। বল হাতে কুনাল পান্ডিয়া নেন ৩ উইকেট। জস হ্যাজেলউডের শিকার ২ উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্টের উপর ভর করে জয়ের বন্দরে সহজে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। এই দুই ব্যাটসম্যান প্রথম উইকেটেই ৯৫ রানের জুটি গড়েন। সল্ট ৫৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও, বিরাট শেষপর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক এই ইনিংস খেলার পথে ৩৮ রান করার পরই আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে এক হাজার রানের কীর্তি গড়েন।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে চারটি দলের বিপক্ষে এক হাজারের বেশি রান করলেন কোহলি। এর আগে দিল্লী ক্যাপিটালস(১০৫৭ রান), চেন্নাই সুপার কিংসের (১০৫৩ রান) ও পাঞ্জাব কিংসের (১০৩০ রান) বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কোহলি। একই সাথে এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তাছাড়া কলকাতা-বেঙ্গালুরু প্রথম আসরের প্রথম লড়াইয়ে অংশ নেওয়া কোহলিই একমাত্র ক্রিকেটকার, যিনি এখনও খেলছেন।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল অন ষ ঠ র ন কর কলক ত উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া

ভালো খেলার স্বীকৃতি নগদেই পেলেন নিগার সুলতানা, শারমিন আক্তার ও রিতু মনি। পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করা অধিনায়ক নিগার ওয়ানডে ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন।

ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন থাইদের বিপক্ষে ৯০ ছাড়ানো শারমিনও। আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে রিতু মনিও সামনে এগিয়েছেন। আর বোলিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন রাবেয়া খান।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন নিগার ও শারমিন। নিগার করেছিলেন ১০১ রান। শারমিন অপরাজিত ৯৪ রান। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ করেছিল নিজেদের রেকর্ড ২৭১ রান। এরপর থাইল্যান্ডকে ৯৩ রানে অলআউট করে ১৭৮ রানে জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। রানের হিসাবে মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।

পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রান করা নিগার ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৭ নম্বরে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ করা শারমিন ১১ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৯ নম্বরে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা রিতু ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৮ নম্বরে। রিতু ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৫৭ নম্বরে উঠেছিলেন।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান সাত ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৩ নম্বরে। এটিই তাঁর সেরা অবস্থান। তিন ধাপ এগিয়ে ৪৮ নম্বরে উঠেছেন আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। পেসার মারুফা আক্তার ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৬০ নম্বরে।

মেয়েদের ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্যাটার দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট, বোলার ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টোন ও অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ