মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের সাংকেতিক পিলারে ধাক্কা, তরুণ নিহত
Published: 23rd, March 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরে সড়কের সাংকেতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামে শংকরপাশা-আমতলা সড়কে বাঁক অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম আবু বক্কর (১৮)। তিনি অভয়নগর উপজেলার লেবুগাতী গ্রামের এরশাদ আলী শেখের ছেলে। এ সময় আহত হয়েছেন ওহিদুজ্জামান রাতুল (১৯)। তিনি একই গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের ছেলে। আবু বক্কর ও ওহিদুজ্জামান সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাতে আবু বক্কর ও ওহিদুজ্জামান উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার থেকে শংকরপাশা-আমতলা সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে লেবুগাতী গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন ওহিদুজ্জামান। রাত সাড়ে আটটার দিকে দ্রুতগতির মোটরসাইকেল উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের শুরুতে বাঁকে পৌঁছায়। সড়কের বাঁকটি অতিক্রম করার সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে সাংকেতিক পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে আবু বক্কর ও ওহিদুজ্জামান রাতুল গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ সময় আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। ওহিদুজ্জামান রাতুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, রাত ৯টায় একজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত আরেকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলিম বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অপর আরোহী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স উপজ ল র সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীর আড়তে ইলিশের কেজি ২৫০০ টাকা
বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষ। আর এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ পান্তা-ইলিশ। এ উৎসব ঘিরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। দেশের বৃহৎ পটুয়াখালীর পাইকারি মাছ বাজার মহিপুর ও আলীপুরে ইলিশের দাম চড়া। এতে পাইকারি ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে সমুদ্রে মাছের অকাল থাকায় ইলিশের দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।
মহিপুর ও আলীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই দুই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফাইস্যা, ছুড়ি, পোয়া, মটকা চিংড়ি, টোনা, তাপসী, কোরাল, চাপলি, পবদা ও টাইগার চিংড়ি, স্বল্প সংখ্যক বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থাকলেও বাজার প্রায় ইলিশ শূন্য। যেখানে প্রতিনিয়ত টন টন ইলিশ বিক্রি হয়, সেখানে হাতেগোনা কয়েকটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেল। তাও মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ। এ বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। আর ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
কলাপাড়া থেকে মহিপুর মাছ বাজারে আসা পাইকারি ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘‘সকাল ৮টায় মহিপুরে এসেছি। এখন পর্যন্ত ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি। এখানে নিলামের মাধ্যমে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এ সব ইলিশ কিনে কত টাকায় বিক্রি করব?’’
আরো পড়ুন:
‘হাসিনার দোসররা ভোরে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে’
নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’
আমতলী থেকে আসা অপর পাইকারি ক্রেতা রিয়াজুল বলেন, ‘‘আজ এখানে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দাম চড়া থাকায় এক মণ ছুড়ি মাছ নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো বিকালে আমতলী বাজারে বিক্রি করব।’’
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মাহতাব ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী মাহতাব হাওলাদার জানান, বেশ কিছু দিন ধরে বৃষ্টি না থাকার কারণে জেলেদের জালে খুব কম পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। যার কারণে বাজারে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। আর আজ একেবারে ইলিশ নেই বললেই চলে। যার কারণে দাম অনেকটা চড়া।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের সংখ্যা একটু কমেছে। এছাড়া এই উপকূলে অনেক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না, যার ইলিশ কম ধরা পড়ছে এবং দামও বেশি। ১৫ এপ্রিল থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার পর জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে এবং দামও অনেকটা কমবে।
ঢাকা/ইমরান/বকুল