গাজীপুরের সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর
Published: 23rd, March 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নার এলাকার একটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় কয়েকজন আহত হন। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানাটিতে ভাঙচুর চালায়।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শ্রমিকরা জানান, ভান্নার এলাকায় অবস্থিত দাইয়ু বাংলাদেশ লিমিডেট কারখানার শ্রমিকরা ছুটির টাকা, টিফিনের টাকা ও ঈদ বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে গতকাল শনিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন। ওই কারখানাটিতে ৫-৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আজ সকালে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে বহিরাগতরা অনুপ্রবেশ করেন। এসময় তাদের উস্কানিতে শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে শ্রমিক ও বহিরাগতরা মিলে কারখানাটিতে ভাঙচুর চালায়। তারা কারখানার সামনে আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, “কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে স্বাভাবিক। শ্রমিকদের দাবিগুলো এলোমেলো। তাদের ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১
ফতুল্লায় ইসহাক মিঝি (৪৫) নামের এক ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সোহরাব হাওলাদার (৪০) নামের একজনকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে এলাকাবাসী।
রোববার (২৩ মার্চ) ভোর রাতে ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকায় রেললাইনের পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসহাক মিঝি চাঁদপুর মতলবের নায়েরগাঁও ইউনিয়নের আয়ুব আলীর ছেলে। সে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় রেজাউলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এ বাড়ির কাছেই শফিকের মালিকানাধীন ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
আটক সোহরাব হাওলাদার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী বাহেরচর গ্রামের মৃত আতহার হাওলাদারের ছেলে। সে ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার লালের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টার সময় চিৎকার শুনে আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হলে ৩-৪ জন লোককে ইজিবাইক চালককে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।
তখন তাদের দেখে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় একজনকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ সনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে
কি কারণে তাকে হত্যা করা হলো এবং এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।