হাতে থাকা মুঠোফোন এখন আর্থিক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যোগাযোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে মুঠোফোন। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) এক মাসে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, অর্থাৎ দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

এসব লেনদেনে অনেক সময় কারও সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ, গ্রাহক নিজেই নিজের হিসাবে টাকা জমা করে অন্যকে পাঠানোর পাশাপাশি কেনাকাটাও করতে পারেন। যেমন মুঠোফোনে রিচার্জ; বিভিন্ন কেনাকাটা, হোটেল–রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া ও পরিষেবার বিল পরিশোধ, টিকিট ক্রয় ইত্যাদি। পাশাপাশি এখন অর্থ স্থানান্তর, প্রবাসী আয় গ্রহণ, সরকারি ভাতা ও বৃত্তি বিতরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-বোনাস প্রদান এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে এসব সেবা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে এসব সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে এসব সেবায় প্রথমবারের মতো লেনদেন এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়ায়।

আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমের কারণে এসব লেনদেনের হিসাব থাকছে। কে কাকে কখন কত টাকা টাকা দিয়েছেন, সে তথ্য জমা থাকছে। ফলে দিন দিন অবৈধ অর্থায়ন কিংবা ঘুষের মতো অপরাধ কমাতে এসব সেবা বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানুয়ারিতে এমএফএস-সেবায় সব মিলিয়ে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ২৯৯। এর মধ্যে সক্রিয় হিসাব ৮ কোটি ৮৫ লাখ। একজন ব্যক্তি একাধিক সেবা ব্যবহার করতে পারেন, তাই প্রকৃত হিসাবধারী ঠিক কতজন, তা অবশ্য জানা যায়নি। গ্রাহকসেবা দিতে সারা দেশে এজেন্ট রয়েছে ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৯টি।

জানুয়ারিতে লেনদেনের মধ্যে টাকা জমা ও উত্তোলন হয়েছে যথাক্রমে ৪৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা ও ৫৫ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা পরস্পরকে পাঠিয়েছেন ৪৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। কেনাকাটায় খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা, সরকারি ভাতা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া মুঠোফোনে রিচার্জ করা হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ও পরিষেবা বিল দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে এ সেবায় সব মিলিয়ে ৭২ কোটি ১৮ লাখ বার লেনদেন হয়েছে।

এমএফএস-সেবার শীর্ষে রয়েছে বিকাশ। তাদের নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় আট কোটি। বিকাশে দিনে লেনদেন হয় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।

বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে মুঠোফোনে লেনদেনে অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে এবং আস্থা বাড়ছে। এখন সাধারণ গ্রাহকদের লেনদেনের পাশাপাশি প্রবাসী আয় গ্রহণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হিসাবেও ভালো লেনদেন হচ্ছে। এ ছাড়া উৎসবকেন্দ্রিক চাহিদা ও নানা ছাড়ের কারণে কেনাকাটা বেড়েছে। কার্যকর ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে মুঠোফোনে লেনদেনের পরিসর আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ।

এ সেবায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নগদ। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দৈনিক লেনদেন ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালু হলেও এখন শহরে বসবাসকারী নাগরিকেরাও এর বড় ব্যবহারকারী। ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানো ও গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিল পরিশোধ, কেনাকাটা, মুঠোফোনে রিচার্জ, টাকা জমানো, ঋণ গ্রহণসহ নানা ধরনের লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে উৎসবে-পার্বণে এসব সেবার ব্যবহার ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে চলতি মাসে লেনদেনে বড় উল্লম্ফন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে এমএফএস চালুর ফলে শুধু কম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে বড় করপোরেট ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পমালিকেরাও এর সুবিধা পেয়েছেন। এখন দেশের সব বড় ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রির টাকা এ সেবার মাধ্যমে সংগ্রহ করছে, যেটাকে কালেকশন সেবা বলছে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার অনেক বড় শিল্পগোষ্ঠী তাদের শ্রমিকের বেতন দিচ্ছে এমএফএসের মাধ্যমে।

শুধু তা-ই নয়, সরকারি ভাতা, বৃত্তি, কেনাকাটা, পরিষেবা বিল পরিশোধ—সবই করা যাচ্ছে এমএফসের মাধ্যমে। আবার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ ও আদায় এবং বিদেশি সংস্থার তহবিল বিতরণও হচ্ছে এসব সেবার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ও ডাক বিভাগের সেবা নগদসহ দেশে এখন এমএফএস প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, এমক্যাশ, মাইক্যাশ, ট্যাপ প্রভৃতি।

দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে সেবাটির নাম বদলে রাখা হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস-সেবা চালু করে বিকাশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল নদ ন র ক ল নদ ন র ল নদ ন ব যবহ র এসব স ব আর থ ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

হাতে থাকা মুঠোফোন এখন আর্থিক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যোগাযোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে মুঠোফোন। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) এক মাসে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, অর্থাৎ দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

এসব লেনদেনে অনেক সময় কারও সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ, গ্রাহক নিজেই নিজের হিসাবে টাকা জমা করে অন্যকে পাঠানোর পাশাপাশি কেনাকাটাও করতে পারেন। যেমন মুঠোফোনে রিচার্জ; বিভিন্ন কেনাকাটা, হোটেল–রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া ও পরিষেবার বিল পরিশোধ, টিকিট ক্রয় ইত্যাদি। পাশাপাশি এখন অর্থ স্থানান্তর, প্রবাসী আয় গ্রহণ, সরকারি ভাতা ও বৃত্তি বিতরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-বোনাস প্রদান এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে এসব সেবা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে এসব সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে এসব সেবায় প্রথমবারের মতো লেনদেন এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়ায়।

আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমের কারণে এসব লেনদেনের হিসাব থাকছে। কে কাকে কখন কত টাকা টাকা দিয়েছেন, সে তথ্য জমা থাকছে। ফলে দিন দিন অবৈধ অর্থায়ন কিংবা ঘুষের মতো অপরাধ কমাতে এসব সেবা বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানুয়ারিতে এমএফএস-সেবায় সব মিলিয়ে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ২৯৯। এর মধ্যে সক্রিয় হিসাব ৮ কোটি ৮৫ লাখ। একজন ব্যক্তি একাধিক সেবা ব্যবহার করতে পারেন, তাই প্রকৃত হিসাবধারী ঠিক কতজন, তা অবশ্য জানা যায়নি। গ্রাহকসেবা দিতে সারা দেশে এজেন্ট রয়েছে ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৯টি।

জানুয়ারিতে লেনদেনের মধ্যে টাকা জমা ও উত্তোলন হয়েছে যথাক্রমে ৪৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা ও ৫৫ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা পরস্পরকে পাঠিয়েছেন ৪৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। কেনাকাটায় খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা, সরকারি ভাতা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া মুঠোফোনে রিচার্জ করা হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ও পরিষেবা বিল দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে এ সেবায় সব মিলিয়ে ৭২ কোটি ১৮ লাখ বার লেনদেন হয়েছে।

এমএফএস-সেবার শীর্ষে রয়েছে বিকাশ। তাদের নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় আট কোটি। বিকাশে দিনে লেনদেন হয় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।

বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে মুঠোফোনে লেনদেনে অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে এবং আস্থা বাড়ছে। এখন সাধারণ গ্রাহকদের লেনদেনের পাশাপাশি প্রবাসী আয় গ্রহণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হিসাবেও ভালো লেনদেন হচ্ছে। এ ছাড়া উৎসবকেন্দ্রিক চাহিদা ও নানা ছাড়ের কারণে কেনাকাটা বেড়েছে। কার্যকর ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে মুঠোফোনে লেনদেনের পরিসর আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ।

এ সেবায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নগদ। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দৈনিক লেনদেন ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালু হলেও এখন শহরে বসবাসকারী নাগরিকেরাও এর বড় ব্যবহারকারী। ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানো ও গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিল পরিশোধ, কেনাকাটা, মুঠোফোনে রিচার্জ, টাকা জমানো, ঋণ গ্রহণসহ নানা ধরনের লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে উৎসবে-পার্বণে এসব সেবার ব্যবহার ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে চলতি মাসে লেনদেনে বড় উল্লম্ফন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে এমএফএস চালুর ফলে শুধু কম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে বড় করপোরেট ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পমালিকেরাও এর সুবিধা পেয়েছেন। এখন দেশের সব বড় ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রির টাকা এ সেবার মাধ্যমে সংগ্রহ করছে, যেটাকে কালেকশন সেবা বলছে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার অনেক বড় শিল্পগোষ্ঠী তাদের শ্রমিকের বেতন দিচ্ছে এমএফএসের মাধ্যমে।

শুধু তা-ই নয়, সরকারি ভাতা, বৃত্তি, কেনাকাটা, পরিষেবা বিল পরিশোধ—সবই করা যাচ্ছে এমএফসের মাধ্যমে। আবার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ ও আদায় এবং বিদেশি সংস্থার তহবিল বিতরণও হচ্ছে এসব সেবার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ও ডাক বিভাগের সেবা নগদসহ দেশে এখন এমএফএস প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, এমক্যাশ, মাইক্যাশ, ট্যাপ প্রভৃতি।

দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে সেবাটির নাম বদলে রাখা হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস-সেবা চালু করে বিকাশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোকিয়া স্মার্টফোন কিনতে বিকাশের গ্রাহকেরা যেভাবে সিটি ব্যাংকের ঋণ পাবেন