তাঁর নাম মালেক ইবনে দিনার। থাকতেন একটি ভাড়া বাসায়। তাঁর প্রতিবেশী ছিল এক ইহুদি। মালেকের ঘরের সামনেই তাঁর ঘর। সেই ঘরের সামনে শৌচাগার তৈরি করেছিল ইহুদিটি। সে নোংরা এনে ফেলত মালেক ইবনে দিনারের দরজায়। দুর্গন্ধে সেখানে বাস করা কষ্টকর হয়ে ওঠে।
এভাবে অনেক দিন চলল।
মালেক ইবনে দিনার কারও কাছে অন্যায়ের বিচার না চেয়ে নীরবে সহ্য করে যান। একদিন প্রতিবেশী নিজেই মালেক ইবনে দিনারের কাছে এসে বলল, ‘মালেক, আমার নোংরার জন্য আপনার কষ্ট হয় না?’
তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, হয়। প্রতিদিন পরিষ্কার করি, ধুয়ে ফেলি।’
আরও পড়ুনজালালুদ্দিন রুমির ‘মসনভি’তে কোরআনের মর্মবাণী২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইহুদি বলল, ‘কোনো রাগ বা ক্ষোভ দেখান না যে?’
মালেক বললেন, ‘আল্লাহর জন্য। তিনি রাগ দমনকারীকে ভালোবাসেন।’
ইহুদি বিস্মিত হয়ে বলে, ‘ইসলাম এত চমৎকার! প্রেমিক তার স্রষ্টার খুশির জন্য শত্রুর অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে তবু শত্রুকে রাগের বশে কোনো আঘাত-আক্রমণ না করে ধৈর্য ধরে! এবং স্রষ্টা ছাড়া কারও কাছে তা বলে না!’
ইহুদি তখনই মালেক ইবনে দিনারের কাছে ক্ষমা চান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনসুলায়মান (আ.) ও হুদহুদ পাখির গল্প২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল ক ইবন
এছাড়াও পড়ুন:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি পেলেন রেকর্ড ক্ষতিপূরণ
হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার আগে প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভোগ করেছেন জাপানি নাগরিক আইয়াও হাকামাতা (৮৯)। তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২১৭ মিলিয়ন ইয়েন (১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার) দেওয়া হবে।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এটি ফৌজদারি মামলায় দেশের সর্বকালের বৃহত্তম অর্থ প্রদান। ১৯৬৮ সালে হাকামাতাকে তাঁর বস, বসের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পুনর্বিচারে গত বছর এই অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি।
হাকামাতার আইনজীবীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ চেয়ে যুক্তি দেন যে, তাদের মক্কেলকে ৪৭ বছর বিনা অভিযোগে জেলের পেছনে কাটাতে হয়েছে। যার জেরে হাকামাতা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হয়ে উঠেছেন। আলজাজিরা।