দুজনই মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তবে মাঝমাঠেও খেলেন। একজন মোহাম্মদ হৃদয়। বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য। আরেকজন নতুন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হামজা চৌধুরী। ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুজনকে কীভাবে ব্যবহার করবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, তা তিনিই জানেন। তবে হামজার দলভুক্তি বাংলাদেশের অন্য ফুটবলারদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে মোহাম্মদ হৃদয়ের জন্য।

নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা ২৩ বছর বয়সী হৃদয় জাতীয় দলের জার্সিতে ২২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ২০২১ সাল থেকে। এখনো জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর কোনো গোল নেই। গোল করা নিয়ে আসলে ভাবছেনও না হৃদয়। গোল করানোর দিকেই বেশি মনোযোগ। আর তিনি নিজে উজ্জ্বীবিত হয়ে আছেন হামজার সঙ্গে খেলবেন ভেবেই।

গতকাল শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের শুরুতে ২৭ বছর বয়সী হামজাকে নিয়ে এক প্রশ্নে হৃদয় বললেন, ‘উনি অনেক ওপরের লেবেলের ফুটবলার। আমরা সবাই চেষ্টা করছি ওনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।’

মানিয়ে নিতে সবাইকে অবশ্য কষ্ট করতে হচ্ছে না। হামজা নিজেই মানিয়ে নিয়েছেন। প্রথম দিন থেকেই তিনি দলের সঙ্গে মিশে গেছেন। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের এই কথার প্রতিধ্বনি দলের সবার কণ্ঠেই। হামজা দলকে উজ্জ্বীবিত করছে কি না—এ প্রশ্ন করা হয়েছিল হৃদয়কে।

তিনি বললেন, ‘আমরা সব সময় ইতিবাচকভাবে সবাই সবার সঙ্গে কথা বলছি। যেভাবে খেললে টিমের জন্য ইতিবাচক ফল আসবে, সেভাবেই কথা বলি। হামজা ভাই আমাদের অনেক সহায়তা করছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন।’

কোনো পরামর্শ কি দেন হামজা? বা সতীর্থরা কি পরামর্শ চান? হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই চাই। আমরা তাঁর কাছে জানতে চাই কী করলে ভালো হয়। কোনটা আমার জন্য সবচেয়ে ভালো, সেহেতু আমরা মাঝমাঠে একই পজিশনে খেলছি, এসব জানতে চাই। তিনিও বলেন। পরামর্শ দেন। প্রতিটি মুহূর্তে ওনার কাছ থেকে শেখার আছে এবং আমরা শিখছিও।’

প্রশ্ন এসেছে, হামজা আসল কত ভালো? ‘যদি ভোট দিতে যাই আমি ওনাকে, ১০০–তে ১০০ দেব’—ঝপপট জবাব হৃদয়ের। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আামাদের লেবেল আর ওনার লেবেলে অনেক পার্থক্য। এটা শুধু আমি নই, আপনারা সবাই জানেন।’

মাঠের বাইরে কী শিখছেন, তা জানতে চাইলে হৃদয়ের উত্তর, ‘আসলে ওনার চলাফেরা একেবারেই সাধারণ। বোঝাই যায় না এত বড় মাপের ফুটবলার। তাঁর চালচলন, মাঠে চলাফেরা, বিনয়—সবই আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। আমরা তাঁর সঙ্গ উপভোগ করছি।’

২৫ মার্চের ম্যাটটা জিতলে উপভোগের মাত্রাটা বাড়বে আরও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে নিগার-শারমিন 

আইসিসির নারী ক্রিকেটারদের ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং বিভাগে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও টপ অর্ডার ব্যাটার শারমিন আক্তার। পাকিস্তানে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ভালো খেলায় র‌্যাঙ্কিংয়ে পুরস্কার পেয়েছেন তারা। 

নিগার সুলতানা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন। যা তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক। 

দারুণ ওই দুই ইনিংস খেলায় ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬ লাফ দিয়ে ১৭তম অবস্থানে উঠে এসেছেন জ্যোতি। তার মতো থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো করেছেন শারমিন আক্তার। তিনি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ২৪। শারমিন ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগিয়ে ২৯তম অবস্থানে এসেছেন। 
 
ওয়ানডের বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়েও এগিয়েছেন বাংলাদেশের দুই বোলার। রাবেয়া খান সাত ধাপ এগিয়ে ২৩তম অবস্থানে উঠেছেন। ফাহিমা খাতুন তিন ধাপ এগিয়ে ৪৮তম অবস্থানে আছেন। 

আইসিসির ওয়ানডের ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লওরা উলভার্ট, দুইয়ে আছেন স্মৃতি মান্দানা, তিনে আছেন নাতালিয়া স্কাইভার ব্রান্ট। ওয়ানডের বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের সোফি এসলেসটন শীর্ষে আছেন, অ্যাশ গার্ডনার আছেন দুইয়ে। অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার আশেন শীর্ষে।

ভারতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বসবে ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ বাছছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে আজ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করছে জ্যোতির দল।   

সম্পর্কিত নিবন্ধ