টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক ভিক্ষুককে (২০) ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আশিক খান (২৪) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পুলিশের ভাষ্য, ওই ঘটনায় মারধরের শিকার যুবক জড়িত নয়। তাকে রবিবার (২৩ মার্চ) পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। 

শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উদ্ধার হওয়া আশিক খান উপজেলার ঢংপাড়া মাঝিবাড়ি এলাকার কাশেম খানের ছেলে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের নাম মামুন (২৪)। তিনি উপজেলার কাঞ্চনপুরের দক্ষিণ বাইদপাড়া এলাকার শফিকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পালাতক।

আরো পড়ুন:

শিশুকে যৌন নিপীড়ন, যুবক গ্রেপ্তার

যৌন হয়রানির অভিযোগে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে এক নারী ভিক্ষা করার জন্য উপজেলার কাঞ্চনপুরের পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকায় যান। ওই নারী ঝিনাই নদীর পাড়ে গেলে তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে দুই যুবক। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশিককে এলাকাবাসী ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক সামির মিয়া ও যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “ওই যুবককে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীকেও থানায় আনা হয়। পরে দুইজনকে সামনা সামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মেয়েটি জানান, মারধরের শিকার ছেলেটি অভিযুক্ত নন। অন্য একজন এ ঘটনায় জড়িত।”

তিনি আরো বলেন, “ভুক্তভোগীকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। রাতেই যৌন নিপীড়নের মামলা করা হয়েছে। মারধরের শিকার যুবককে তার পরিবারের জিম্মায় রবিবার তুলে দেওয়া হবে।” 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর উপজ ল র ঘটন য় য বকক

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির এক শিক্ষকে অব্যাহতি, অন্যজনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতি থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক প্রণোদনা স্থগিত করা হয়েছে। শাস্তি চলাকালে তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনের আচরণের নৈতিক স্খলন হিসেবে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ