বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) শরিফুল ইসলাম খোকন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। 

বাদী শরিফুল ইসলাম খোকন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি বেলকুচি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার শাহদহ এলাকায় মাটি-বালু উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেই বালু অপসারণের কাজে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

হামলা-ভাঙচুর মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২

শিশুকে যৌন নিপীড়ন, যুবক গ্রেপ্তার

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে শাকদহ এলাকায় বালু পয়েন্টে গিয়ে তার (শরিফুল ইসলাম) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোয়েল সরকারকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গত ২১ মার্চ শরিফুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম খোকনের অভিযোগ, থানায় মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা শাকদহ পয়েন্ট থেকে বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে নদীর সীমানা ছাড়াও স্থানীয় কৃষকের জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মেসার্স সেলিম ট্রেডার্স এবং বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত বছরের ২১ আগস্ট  ৩৫ লাখ টাকায় ২০ লাখ ঘনফুট বালু কিনে নেওয়া হয়। একই বালু গত ৩০ অক্টোবরে ক্রয় দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করছেন। এই দাবির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই নয়, নিলামে কেনা বালুর মালিকানা নিয়ে হয়রানি করতেই থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হননি। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।” 

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল মানে ব্রাজিলই : স্কালোনি

যেটুকু দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাঁর কপালে ছিল, তা মুছে গেছে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ের পরই। মেসি- লাওতারোর জায়গায় গোল করবে কে? স্কালোনির সেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন আলমাদা। জুলিয়ানো সিমিওনিও ভালো খেলেছেন আক্রমণ ভাগে এবং এদের প্রত্যেকেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে ফর্মে আছেন।

সব মিলিয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একধরনের স্বস্তি ফিরেছে আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনির মধ্যে। আর মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই বিশ্বকাপের টিকিট হাতে চলে আসবে, সেই হিসাবে প্রতিপক্ষের চেয়ে অন্তত ভালো অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ব্রাজিল, তখন কেবল পয়েন্টের সমীকরণ দিয়ে কি আর অঙ্ক মেলানো চলে। ম্যাচের পারদ চড়ার ব্যাপারটি স্কালোনি বেশ ভালোই জানেন। ‘ব্রাজিল মানে ব্রাজিলই। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা কিছু খেলোয়াড় রয়েছে ব্রাজিল দলে। আমি জানি, তারা আমাদের জন্য শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জ জানাবে। তাদের আমরা সম্মান করি। তবে তাদের দল নিয়ে আমরা এরই মধ্যে বিশ্লেষণ করা শুরু করেছি। তবে এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি, অনেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তারা।’

সুপার ক্ল্যাসিকোর এই ম্যাচটি ঘিরে এরই মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে বুয়েন্স আয়ার্সে। আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সভাপতি তাপিয়া জানিয়েছেন, যেহেতু ম্যাচটিতে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তাই ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে বিশেষভাবে তারা ম্যাচটি উদযাপন করবেন। বোঝাই যাচ্ছে, একেবারে আটঘাট বেঁধে তৈরি বুয়েন্স আয়ার্স।

আর্জেন্টিনার বন্দর শহর বাহিয়া ব্ল্যাঙ্কা শহরে বন্যা চলছে। তাপিয়া জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচে গ্যালারির টিকিট বিক্রির একটি অংশ সেই বন্যার্তদের জন্য সাহায্য করা হবে। ম্যাচটিতে মেসির মতো তারকার অনুপস্থিতি অনেককেই হতাশ করেছে। তবে ডি পলের প্রত্যাবর্তনে কোচ স্কালোনি অন্তত খুশি হয়েছেন।

উরুগুয়ের বিপক্ষে না খেললেও ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে ডি পলকে। ‘ব্রাজিলের ম্যাচটি আমাদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচ, যা কিনা প্রত্যেক খেলোয়াড়ই খেলতে চাইবে। আগেও এমন ম্যাচ খেলেছি আমি। আশা করি, এবারও খেলতে পারব।’ একটু খোঁচাও দিয়ে রেখেছেন তিনি, ‘আশা করি, আমরা তাদের সুখ কেড়ে নিতে পারব। আমরা এই ম্যাচটি উপভোগ করতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ