‘বীরের কণ্ঠে বীরগাথা’ প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালে ৮০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথা ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি এ কার্যক্রম বাতিল করেছে সরকার। দুই বছরে ১২ হাজার ৭৮৮ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিডিও ধারণ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম বাতিল হওয়ায় ধারণকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় ডিজিটাল ডকুমেন্ট গত মাসে জাতীয় আর্কাইভ তথা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে পাঠানো হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৮৫১। এর মধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ৯১ হাজার ৪৪৯ জন। 
মুক্তিযুদ্ধের ১৬ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে ১৫ জনই প্রয়াত। জীবিত আছেন কেবল ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। তাঁকেসহ আরও যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন, তাদের অধিকাংশই বয়সের ভারে ন্যুব্জ; রোগ-শোকে ক্লান্ত। কিন্তু প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধারই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অজেয় বীরত্বগাথা।

শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা সংরক্ষণই নয়; বাতিল হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণে গৃহীত ডিজিটাল আর্কাইভ স্থাপনের কার্যক্রমও। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে থাকা মুক্তিযুদ্ধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা সংরক্ষণ করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৯ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

‘সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য’ প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উদ্যোগে বহির্বিশ্ব থেকে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ডিজিটাল ডকুমেন্টস সংগ্রহের কার্যক্রমও।

প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল তথ্য-উপাত্তের জন্য এখন বেসরকারি উদ্যোগই মুখ্য। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.

সারওয়ার আলী সমকালকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তিনটি প্রজন্ম তাদের মেধার পরিপূর্ণ ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। দেশ স্বাধীন না হলে এ সুযোগ সৃষ্টি হতো না। যদিও অনেক ক্ষেত্রে অপূর্ণতা রয়ে গেছে। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিপুল আত্মদান এবং বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ইতিহাসের সচেতনতা ছাড়া একটি জাতি বিকশিত হতে পারে না।’

ডা. সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা নিজেও বীর নৌ কমান্ডো, অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা। কাজেই তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’

দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থান, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিল রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে এর কিছু সংগৃহীত হলেও সরকার উদ্যোগ নিলে এ সংখ্যা বাড়বে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র, বই-পুস্তক, পেপার কাটিংসহ নানা ডকুমেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ না করায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বেসরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ ও প্রচার হলেও তাতে ধারাবাহিকতা নেই। আবার অনলাইনে যেসব ডকুমেন্ট প্রচার হচ্ছে, তাতে রয়েছে নানা বিকৃতি ও অসংগতি। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের দলিল ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ ও প্রচার করা প্রয়োজন।

বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্ট
পাকিস্তান, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, নেপাল, ভুটানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল রয়েছে। এপি, রয়টার্স, এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ডিজিটাল ডকুমেন্ট। এসব সংগ্রহে ২০২২ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশ পাথ ও নেদারল্যান্ডসের রেড অরেঞ্জের সঙ্গে পৃথক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বাংলাদেশের ফিল্ম আর্কাইভ। ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এ-সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় ব্রিটিশ পাথ থেকে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ১৫৬টি ভিডিও ফুটেজ এবং রেড অরেঞ্জ থেকে কয়েকশ দলিল সংগ্রহ করার কথা। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে কয়েক হাজার মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।

জানতে চাইলে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল সমকালকে বলেন, ‘প্রকল্পের কার্যক্রম অসমাপ্ত অবস্থায় সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য এই প্রকল্পের আওতায় যেসব ডকুমেন্ট সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলো এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ডকুমেন্টগুলো (বীরত্বগাথা) ফিল্ম আর্কাইভ বিধি অনুযায়ী সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।’ 

নষ্ট হচ্ছে দলিল-দস্তাবেজ
বৃহৎ আকারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’ এবং এক খণ্ডে অ্যালবাম প্রকাশ করে ১৯৮৮ সালে প্রকল্পটি বিলুপ্ত করা হয়। তখন সংগৃহীত প্রায় সাড়ে তিন লাখ পৃষ্ঠার দলিল বস্তাবন্দি করে রাখা হয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) গ্যারেজে। ওই বছর ভয়াবহ বন্যায় সেখানকার অনেক দলিল নষ্ট হয়ে যায়। পরে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয় জাতীয় জাদুঘরে। বর্তমানে জাদুঘরে ১ হাজার ৫৫১টি ফাইলে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার পৃষ্ঠার দলিল রয়েছে, অর্থাৎ ২ লাখ ৩৮ হাজার পৃষ্ঠার দলিল আর সংরক্ষণে নেই! জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা দলিল ও নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দলিলপত্র, রণাঙ্গনের কিছু দলিল এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাক্ষাৎকার। এসব ২০১৪ সালের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের কথা বলা হলেও তা হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘বিষয়টি অনেক পুরোনো। নথিপত্র সেভাবেই আছে। ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারে কিছু করা হয়নি। তবে চিন্তাভাবনা আছে।’

সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে ‘যুদ্ধশিশু’বিষয়ক অনেক নথি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১০ বছরে প্রায় আড়াই হাজার যুদ্ধশিশুকে বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য থাকার কথা; কিন্তু রয়েছে সাতশর মতো নথি। বাকি নথি খোয়া গেছে বলে জানা যায়। একইভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা মুক্তিযুদ্ধের দলিল খোয়া যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ব্যক্তি উদ্যোগ
ইন্টারনেটের বদৌলতে তরুণ প্রজন্ম, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারাও এখন জানতে পারছেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে; দেশের গৌরবান্বিত বিজয়গাথা ও ইতিহাস সম্পর্কে। সরকারি উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডিজিটাল আর্কাইভ এবং ওয়েবসাইট গড়ে তোলা না হলেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন। এসব ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হাজারো দুর্লভ ছবি মুক্তিযুদ্ধকে করেছে জীবন্ত। আরও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই, দলিল, ভিডিও ফুটেজ, চলচ্চিত্র, অডিওসহ খুঁটিনাটি।

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারের অগণিত পেজেও তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের জয়গান। এর মধ্যে সংগ্রামের নোটবুক, মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ, জেনোসাইড বাংলাদেশ ডটঅর্গ, আইসিএসফোরাম ডটঅর্গ, জন্মযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, বাংলা গ্যালারি ডটকম, মুক্তিযুদ্ধে উইকি ডটকম, ভার্চুয়াল বাংলাদেশ, মুক্তধারা, মুক্তমনা, ফ্রিডম ইন দি এয়ার, বাংলাপিডিয়া, মুজিবনগর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, গণহত্যার আর্কাইভ ও রাজাকারদের তালিকা, ভারতীয় ওয়েবসাইট ও মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ১৯৭১, যুদ্ধ দলিল, যুদ্ধাপরাধের দলিলপত্রসহ বিভিন্ন নামে আরও উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। স্মার্টফোনের এ যুগে ওয়েবের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনও এখন বেশ জনপ্রিয়। 

মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক প্রবাসী সাব্বির হোসাইন সমকালকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টাকে রুখে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আদর্শ ধারণ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, বিকৃতিরোধ ও প্রচার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ কাজ করে যাচ্ছে। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’

গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আশির দশক থেকে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান ডা. এম এ হাসান। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্ট ও তথ্য-উপাত্ত যা আছে, সরকারিভাবে ডিজিটাল আর্কাইভের মাধ্যমে দ্রুত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে। ভূমি জরিপ যেভাবে হয়, ঠিক সেভাবেই সারাদেশে অনুসন্ধান চালাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কাহিনি ছড়িয়ে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের মাঝে, যেন তারা পথ না হারায়।

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সমকালকে বলেন, বীরের কণ্ঠে বীরগাথা প্রকল্পে প্রচুর টাকা-পয়সা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক অর্থে সেখানে সব মানুষকে মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ সব মানুষকে সম্পৃক্ত করে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে। এ জন্য প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত সব ডিজিটাল ডকুমেন্ট ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল আর্কাইভের প্রয়োজন নেই।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প র আওত য় ধ র দল ল প রজন ম ব সরক র জ দ ঘর কম ন ড এ জন য র জন য র অন ক ব ষয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

নেস্ট: সবার জন্য আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের এক নতুন দিগন্ত

বিলাসবহুল আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে বহু বছর ধরেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে আসছে ‘এডিসন রিয়েল এস্টেট’। এটি শুধু একটি রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড নয়, বরং আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য বহু মানুষের আস্থার জায়গা।

বর্তমানে আবাসন নির্মাণে মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা ভেবে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে এডিসন রিয়েল এস্টেটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘নেস্ট’। ঢাকায় একটি নিজের বাড়ি—মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য কেবল একটি স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতেই কাজ করছে নেস্ট। এডিসন রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদের নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য উচ্চমানের, সুপরিকল্পিত ও সাশ্রয়ী আবাসনের সুযোগ তৈরি করতেই নেস্টের যাত্রা।

সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন বাড়ি

নেস্টের লক্ষ্য সহজ—মানের সঙ্গে আপস না করেই মানুষের সাধ্যের মধ্যে আবাসন নিশ্চিত করা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, কম বাজেটের ফ্ল্যাট মানেই নিম্নমানের নির্মাণশৈলী এবং অপরিকল্পিত নকশা। কিন্তু নেস্ট সেই বাস্তবতাকে পাল্টে দিচ্ছে। স্মার্ট স্পেস প্ল্যানিং, আধুনিক ডিজাইন ও কার্যকর নির্মাণ কৌশলের মাধ্যমে তারা মধ্যম আয়ের গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত করছে। এই প্রকল্প শুরুর পর থেকেই নেস্ট আবাসন খাতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষভাবে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নেস্টের একাধিক প্রকল্প ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বসুন্ধরায় তাদের একতলা বিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টগুলো বর্তমানে গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। কারণ, এগুলো সাশ্রয়ী তো বটেই, পাশাপাশি মানসম্পন্ন।

তলাবিশিষ্ট আবাসন প্রকল্প ‘ফ্লোরেন্স’

সম্পর্কিত নিবন্ধ