আইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ
Published: 23rd, March 2025 GMT
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিং দেয় শিক্ষার্থীদের। এ জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছে। আইডিবি ১১ বছর ধরে ভোকেশনাল স্কলারশিপের অধীনে বিভিন্ন ট্রেডে ছয় মাস মেয়াদি কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে আসছে।
আর্থিক কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া দরিদ্র মুসলিম যুব সমাজকে দক্ষ ও পেশাদার পর্যায়ে উন্নীত করাই এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪১ জন এ স্কলারশিপের আওতায় ট্রেনিং করে দেশ-বিদেশে ২৪৮টির বেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
সুযোগ-সুবিধা*ছয় মাস মেয়াদি (৭২০ ঘণ্টা) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ;
*থাকা-খাওয়াসহ সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ট্রেনিং;
*প্রশিক্ষণ চলাকালে মাসিক ৫০০ টাকা হাতখরচ;
*চাকরি উপযোগী সিলেবাস ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ;
*চাকরি পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা;
যেসব কোর্সে ট্রেনিং—*ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস;
*ইলেকট্রনিকস;
*রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং;
*ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন;
*মেশিনিস্ট;
আবেদনকারীর জন্য নির্দেশাবলি—
*শুধু সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম প্রার্থীদের জন্য;
*একজন প্রার্থী একবারই আবেদন করতে পারবেন;
*জন্মতারিখ সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে;
আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ০৮ মার্চ ২০২৫যেসব কাগজপত্র দরকার—
*জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসির ফল, ফল প্রকাশের বছর ও রোল নম্বর;
*ফরম পূরণে আবেদনকারীকে মুঠোফোন নম্বর দিতে হবে ও সেটি যাচাইয়ে দ্বিতীয়বার কনফার্ম মুঠোফোন নম্বরের ঘরে লিখতে হবে;
*পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে;
*প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না;
*ফরম সাবমিটের পর প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে হবে;
মডেল: ইয়াসফি ও হাদীউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’