কুষ্টিয়ায় সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি
Published: 23rd, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় বাসযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা ও মালপত্র লুট করা হয়। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাঙা বটতৈলে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় বাসচালক আমজাদ হোসেন আহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে ডাকাতির সময় তিনজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় লোকজন। তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় এসবি সুপার ডিলাক্স বাসের চালক আমজাদ হোসেন বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে তাদের বাসটি কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছাড়ে। কুষ্টিয়া কাউন্টারে রাত সাড়ে ৩টায় যাত্রী নামিয়ে সাহ্রি শেষ করে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর উপজেলার ভাঙ্গা বটতৈলে পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলা ও একটি ট্রাক আড়াআড়ি রাখা দেখে বাসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়। এ সময় বাসের পাশাপাশি কয়েকটি ট্রাক ও নছিমন আটকা পড়ে। এর পর একদল মুখোশধারী দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে বাসে ঢুকে বাস থামাতে বলে। তিনি বলেন, আমি বাধা দিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এর পর যাত্রী ও বাসের স্টাফদের মারধর করে তাদের টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য মালপত্র নিয়ে যায়।
আহত চালক আরও বলেন, বাসের পাশে আটকে পড়া গাড়িগুলোতেও ডাকাতি করেছে তারা। তাদের মারধরও করা হয়েছে।
মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে বাসটিতে তেমন যাত্রী ছিল না বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের টিম কাজ করছে।
মেরিন ড্রাইভ সড়কে ডাকাতির সময় আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে ডাকাতির সময় তিনজনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের মুন্ডার ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন– টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাকিব আহমেদ (২৭), ওমর ফারুক (৩০) ও হাতিয়ার ঘোনার রুবেল।
ভুক্তভোগী নারী খুরশিদা বেগম বলেন, দুপুরে টেকনাফ থেকে অটোরিকশায় আমরা চারজন বাড়ি ফিরছিলাম। পথে তিন যুবক মোটরসাইকেলে আমাদের পেছনে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে মুন্ডার ডেইল এলাকায় অটোরিকশা থামিয়ে মারধর ও ছুরি দেখিয়ে টাকা দিতে বলে। তখন স্থানীয়রা তাদের মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশকে দেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভে তিন যুবককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ধরে এনেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে মা-শিশু সন্তানসহ ৩ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা, ৫ দিনের রিমান্ডে স্বামী ইয়াছিন
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী ও শিশু সন্তান সহ তিনজনকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে মাটিচাপা দিয়ে গুমের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছন নিহত লামিয়ার বড় বোন মুনমুন আক্তার।
শুক্রবার রাতে এ মামলা রুজু হয়। মামলায় নিহত লামিয়ার স্বামী আটক ইয়াছিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন ইয়াছিনেন বাবা দুলাল মিয়া ও ছোট বোন শিমু।
এদিকে শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামি ইয়াছিনকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া বড় বাড়ি এলাকার পোশাক শ্রমিক লামিয়া আক্তার, তার চার বছর বয়সের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ ও লামিয়ার প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্না আক্তার।
নিখোঁজের চারদিন পর বাসার পাশে রাস্তা খুঁড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তিন জনের খন্ড বিখন্ড লাশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনু আলম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান চলছে।