ইসবগুল সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যবহৃত হয়। ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালে ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পানি শোষণ করে। কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষক্রিয়া তৈরি করে না। যেহেতু এটা কার্যকারিতার জন্য অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই দুই চা-চামচ ভুসি, পানি বা দুধে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলা ভালো। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে। তবে ইসবগুল খাওয়ার পদ্ধতির ভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে উপকারিতা নির্ভর করে, চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুল১-২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।
ইসবগুল পায়খানায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পায়খানা নরম করে এবং সহজে বের হতে সাহায্য করে।
ইসবগুল কতটুকু খেতে হবে, তা বয়স, ওজন, শারীরিক অন্যান্য অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে।
ডায়রিয়া চিকিৎসায় ইসবগুলখাওয়ার পর ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
প্রতিদিন এই নিয়মে ইসবগুল সেবনে পায়খানা নরম হওয়ার বদলে শক্ত হবে। দই এ ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে।
ইসবগুল যে কারণে ডায়রিয়া হয়েছে, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস খাদ্যনালির যে ক্ষতি সাধন করে, তা সারিয়ে তোলে।
আরও পড়ুনরমজান মাসে কোন সময় চিয়া সিড খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন০২ মার্চ ২০২৫দীর্ঘদিন হজমের সমস্যায় ইসবগুলের ব্যবহারপ্রতিদিন ২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।
ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করে।
খাদ্যনালি রাখে টক্সিনমুক্ত, যা ক্ষতিকর পদার্থ সহজে শরীর থেকে বের করে দেয়।
অর্শ্বরোগ নিরাময়ে ইসবগুল
২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।
এটি পায়খানায় পানির পরিমাণ বাড়ায় ও নরম করে, ফলে ব্যথা লাগে না।
পায়খানা নরমের ফলে বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়ে এবং কম রক্ত যায়।
২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দু’মাস দেরিতে ২৪ বাগানে চায়ের উৎপাদন শুরু
মৌসুম শুরুর দু’মাস পর চুনারুঘাট উপজেলার ২৪টি বাগানে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে চায়ের উৎপাদন শুরু করা হলেও চলতি মৌসুমে তা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় উপজেলার অধিকাংশ বাগানে গাছ নষ্ট হয়। অন্যগুলোতে দেখা মেলেনি নতুন পাতা ও কুঁড়ির।
চলতি সপ্তাহে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির পর পরই প্রতিটি বাগানে চায়ের কচি পাতা ও কুঁড়ির দেখা মেলে। এর পরেও শুরু হয় পাতা উত্তোলন ও উৎপাদন কাজ। চলতি মৌসুমে চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি বাগানে চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি। তবে মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে বাগানগুলো সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারে উদ্বেগ কাটেনি কর্তৃপক্ষের।
এসব বাগান কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং স্থানীয় চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দেরিতে হলেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এরই মধ্যে বাগানগুলোর বিবর্ণ রূপ মুছে গিয়ে প্রাণবন্ত সবুজের আধিপত্য নজর কাড়ছে। আরও কিছু সময় টানা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও বদলে যাবে।
বাগান মালিকরা বলছেন, দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর বৃষ্টির স্পর্শ পেল চা বাগানগুলো। এর আগেই উপজেলার লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি বাগানের অধিকাংশেই ৪০ ভাগ চারাগাছ ও ১০ ভাগ পরিণত চা গাছ খরায় পুড়ে গেছে। হাতেগোনা কয়েকটি বাগানে কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা থাকায় মার্চ মাস
থেকে সেখানে সীমিত আকারে উৎপাদন শুরু করলেও চলতি মাসেই সবগুলো বাগানে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিমুর রহমান বলেন, দেরিতে হলেও বৃষ্টির দেখা পেয়ে চা শ্রমিকরা খুশি। তারা পুরোদমে পাতা তোলার কাজে ব্যস্ত। বাগানের নির্ধারিত কারখানায় চায়ের উৎপাদনও শুরু হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও হাল ছাড়বেন না তারা। সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশিত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলে ভালো কিছু আশা করা যাবে।
লালচান্দ চা বাগানের চা শ্রমিক দিপালি ভৌমিজ বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকেই চা পাতা ও কুঁড়ি উত্তোলন শুরু করেন শ্রমিকরা। এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট খরায় তা পিছিয়ে যায়। বৃষ্টি ঝরায় গাছগুলোতে সবুজ কচি পাতা আসছে।