তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলা, ছাত্রদল আহ্বায়ক বহিষ্কার
Published: 23rd, March 2025 GMT
এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ককে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছে দলটি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৭) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা শাখার অধীন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহর সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আলফাডাঙ্গা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনকে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
জানা যায়, আলফাডাঙ্গার এক কলেজ শিক্ষার্থী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গত ৬ মার্চ রাতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন ও তাঁর দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা করেন।
মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ পলাতক ছিলেন। গত সোমবার রাতে আব্দুল্লাহকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পর দিন মঙ্গলবার ফরিদপুর আদালতে পাঠায় স্থানীয় থানা পুলিশ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল আলফ ড ঙ গ গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
রমজানে অধীনস্থদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন
রমজান মাস সহমর্মিতার মাস। রাসুল (সা.) এ-মাসে বন্দীদের মুক্তি দিতেন এবং সাহায্যপ্রার্থীকে পর্যাপ্ত দান করতেন। (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৫৭)
রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে শারীরিক অবসাদ, ক্লান্তিবোধ ও কিছুটা কষ্ট প্রায় সবার হয়ে থাকে। এই মাসে নিজের অধীনস্থ ও কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মুমিন বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করে দেবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭,০২৮)
রমজানে অফিসের কর্মচারী, গৃহকর্মীরাও রোজা রেখে থাকেন। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকেন। সুতরাং তাদের প্রতিও কিছু দায়িত্ব চলে আসে। যেমন তাদের কাজে সহযোগিতা করা। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে (রমজান মাসে) নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৩,৩৩৬; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১,৮৮৭)
আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫কীভাবে কাজ হালকা করবেন
কাজ কমিয়ে দেওয়া: যে কাজটা সে একা করবে তাতে নিজেও হাত লাগানো। না হলেও চলে এমন কাজের জন্য তাদের চাপ না দেওয়া। রোজার সময় তার নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে কিছু কম সেবা গ্রহণ করেও তার অনুগ্রহ করা যেতে পারে।
পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেওয়া: যদি কাজের চাপ এত বেশি থাকে যে, আপনি নিজেও প্রচুর পরিশ্রম করছেন। তাহলে অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে কর্মীদের পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এটাও এক ধরনের সহানুভূতি।
কাজের সময় কমানো: ‘কাজের সময়’ কমিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। এভাবেও হতে পারে, সময় কমিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করানোর ব্যবস্থা করা। এতে কর্মচারীদেরও একটু সহযোগিতা হবে আবার কর্মকর্তারও কাজের ঘাটতি হবে না।
কিন্তু কর্মচারীর জন্য রোজার কারণ দেখিয়ে কাজে অলসতা ও অবহেলা করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। আবার কাজের বাড়তি চাপের কারণে কর্মচারী যদি রোজা রাখা ছেড়ে দেয়, এটাও কর্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। তবে হ্যাঁ, কর্মচারী যদি কষ্ট করে নিজের দায়িত্ব আদায় করে তবে সে এর জন্য অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪