রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোড থেকে গতকাল শুক্রবার আটক সাতজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডে বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় মিছিলটি বের করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে ধানমন্ডি থানা–পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীরের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে কিছু প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে কিছু ব্যক্তি ফিলিস্তিনে চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যেহেতু নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের বলার কিছু থাকে না। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধ নমন ড

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষে পুকুরে ১০ হাঁস ধরতে নামে ৪০ প্রতিযোগী

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষ ভিন্ন আয়োজনে মেতে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুরের পানিতে সাঁতরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর ছিল। এ প্রতিযোগিতা দেখতে পকুরের চারপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ পুকুরে এ আয়োজন করা হয়। ১০টি হাঁস ধরতে নামে ৪০ জন প্রতিযোগী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান ও রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার প্রমুখ।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পুকুরের দক্ষিণ পাশে ছিল। উত্তর পাশ থেকে হাঁসগুলো পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগীরা সাঁতরে এসে হাঁসগুলো ধরতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর ১০ জন প্রতিযোগী ১০টি হাঁস ধরতে সক্ষম হন।

আরো পড়ুন:

কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ 

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে আমরা এই ঐতিহ্য ধারণ করে আসছি। সেই আলোকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য হাঁস খেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ আয়োজনে মানুষ আনন্দ পেয়েছে।’’

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান জানান, নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর উপজেলা পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়। 

ঢাকা/লিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ