শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার ভাস্কর্য চেতনা ’৭১। এই ভাস্কর্যের নকশা করেছেন স্থপতি মোবারক হোসেন নৃপল। ভাস্কর্যটি বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণও বর্তমান সময়ের। মডেল ছাত্রের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উঁচুতে তুলে ধরার ভঙ্গিমা এবং ছাত্রীর হাতে বই; যা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতীক নির্দেশ করে। খরচের চেয়ে ভাস্কর্যের সৌন্দর্যের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বেদির নিচের প্লেট তিনটি বানানো হয়েছে সিরামিক ইট দিয়ে। এর মধ্যে নিচের প্লেটটির ব্যাস ১৫ ফুট। মাঝের প্লেটটির ব্যাস সাড়ে ১৩ ফুট এবং ওপরের প্লেট ১২ ফুট। প্রতিটি আবার ১০ ইঞ্চি করে উঁচু। প্লেট তিনটির ওপরে মূল বেদিটি হচ্ছে চার ফুট উঁচু। তার ওপর আট ফুট উঁচু ফিগার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ স কর য

এছাড়াও পড়ুন:

সাঁতরে কুড়িগ্রাম থেকে চাঁদপুর, লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতার শুরু। যমুনা নদী হয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৯ দিনের মাথায় চাঁদপুরে পৌঁছেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রফিকুল ইসলাম। তাঁর লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরছোঁয়া। গত শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল মোলহেডে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত জানান স্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার ও চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ।
রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের ভেতরে ৫৫০ কিলোমিটার নদীপথ সাঁতরে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ঝুনকারচর থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।
গত শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় সাঁতার শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীপথ পাড়ি দিয়ে মোলহেডে পৌঁছান রফিকুল। টানা ২৯ দিনে ৪০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। মেঘনায় ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন ২৬ মার্চের মধ্যেই। কিন্তু ঢাকায় জরুরি কাজ থাকায় তিনি বাকি ১৫০ কিলোমিটার শুরু করবেন ঈদের ছুটির মধ্যে।
তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ। এর আগে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার কেটেছেন। অংশ নিয়েছেন ওশানম্যান দুবাই প্রতিযোগিতায়। গত বছর গিয়েছিলেন অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে, সেখানকার হিমশীতল পানিতেও সাঁতার কেটেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁতার কেটে নদী ও নদীপারের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। আমাকে দীর্ঘ এই নদীপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে সার্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছেন আমার স্ত্রী নিশাত মজুমদার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ