বিশ্বনাথ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বাসিয়া নদী বর্তমানে দখল আর দূষণে বিপন্ন। বর্তমানে ছোট একটি খালের আকার ধারণ করেছে নদীটি।
বাসিয়ার তীরে অসংখ্য বাসাবাড়ি ও বাজার গড়ে উঠেছে। বাসাবাড়ি ও বাজারের ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই নদীটি। ফলে নদীতে পানির বদলে কেবল আবর্জনার স্তূপ, যা পরিবেশের জন্য এক বিরাট হুমকিস্বরূপ। তবে অনেক দিন পর বিশ্বনাথে পৌরসভা বাস্তবায়ন হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো স্থান নির্ধারণ হয়নি। তাই বাসিয়া নদীটিকে ডাস্টবিনে পরিণত করা হয়। অবশেষে পৌরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার বাসিয়া নদীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্বনাথ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। আগামী পাঁচ দিন চলবে এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি। কাজ করা হবে পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি রোড মোড় থেকে উপজেলা কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত। সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর ময়লা-আবর্জনা সিলেট সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আলাউদ্দিন কাদেরের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী প্রকৌশলী আসিফ লৌহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ, পৌর প্রকৌশলী ভবি মজুমদার, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মতিউর রহমান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিপন প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ ব শ বন থ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি

নুর ইসলামকে সভাপতি ও রীমন আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এই কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলামের কিছু পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা এসব ছবি নিয়ে সংগঠনের ভেতরে সমালোচনা চলছে।

নুর ইসলাম ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ ছাত্রদলের একটি পক্ষ। তিনি কলেজের একটি হলে ‘ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও’ ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বলছে, নূর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছেন।

রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রামেক ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলাম ২০২৩ সালে এমবিবিএস শেষ করেছেন।

জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি দেওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে নূরের ছবিগুলো আমরাও পেয়েছি। রাতেই আমরা দেখেছি। এখন তার কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন স্বাচিপ নেত্রী-তাদের সঙ্গে তো ছবি তুলতেই পারে। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে যায়নি; বরং ওই ফ্যাসিস্টের আমলে সে আমাদের দলে কর্মসূচিতেই দীর্ঘদিন থেকে আছে।’

দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে নূর ইসলাম (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ