আবার শুরু হয়েছে আইপিএল আসরের নতুন অধ্যায়। আইপিএল ঘিরে দেশের ক্রিকেটভক্তের আছে বিশেষ আগ্রহ। ক্রিকেটপ্রেমীরা যেন চলতি আইপিএল আসরের সব টানটান উত্তেজনাকর মুহূর্ত নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম টফি। চলতি আসরের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে প্ল্যাটফর্মটি।
দর্শকের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নতুন ইন্টারফেসের মানোন্নয়ন করেছে উদ্যোক্তারা। ম্যাচের সময় যেখানেই থাকুন না কেন; পথে, স্কুল বা কর্মক্ষেত্র, টফির অন-দ্য-গো ভিউয়িং ও রিমোট ভিউয়িং অপশনের মাধ্যমে সহজে আইপিএল ম্যাচ দেখতে পারবেন। বাংলালিংক অপারেটরের চিফ ডিজিটাল অফিসার (সিডিও) গোলাম কিবরিয়া বলেন, আগ্রহীদের জন্য নির্বিঘ্ন ও সহজলভ্য বিনোদন নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। বাংলাদেশে আইপিএল সিজন চলাকালে দারুণ উত্তেজনা বিরাজ করে। তুমুল আগ্রহের বিবেচনায় ক্রিকেটভক্তদের জন্য সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ফলে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যে কোনো সময় ও যে কোনো জায়গা থেকে হাইভোল্টেজ টুর্নামেন্টের প্রতিটি উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন। অপারেটরটির আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম কনটেন্ট অফার করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ড টক স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অচেনা ফোনকলে ঝুঁকি!
উৎসব এলেই একদিকে যেমন ডিজিটাল বিকিকিনি বাড়ে, অন্যদিকে তেমনি প্রতারণার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হুটহাট অজানা কলে বিভ্রান্ত করে তৈরি করা হয় ডিজিটাল ফাঁদ। উদ্দেশ্য, কীভাবে ডিজিটাল তথ্য হাতিয়ে টার্গেটকে ক্ষতির দিকে টেনে নেওয়া যায়। এমন স্পুফিং কল নিয়ে লিখেছেন সাব্বিন হাসান
বিদেশি বা অচেনা কোনো নম্বর থেকে ফোনকল দৃশ্যমান হলে কলার আইডিতে নিজ দেশের বাইরে সাধারণত (+) সাইন ও বিশেষ কোড সামনে আসে। অনেকের কাছেই আজকাল এমন ফোনকল আসার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
দেশের বাইরের কোনো কোড, যা থেকে বোঝা যায়, ওই নম্বর কোন দেশের, অনেক সময়ে বিশেষ ক্যাটেগরির আইপি নম্বর থেকেও ফোন আসে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশি কোনো জায়গা থেকে ফোন করে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলার কৌশল নেয়। আবার কখনও অনলাইন গেম, কখনও লটারি জয়ের প্রতিশ্রুতি, অযাচিত ভুয়া হুমকি বা কোনো না কোনো অজুহাতে ফোনকল করা হয়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কয়েকটি দেশের সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি হলে আদৌ কী করা উচিত, তা জানা থাকা জরুরি।
বিদেশি নম্বর
কললিস্টে +৮৮ নম্বরের বদলে + ১, + ৮৭, + ৯৭ এমন নম্বর থেকে মোবাইলে কল আসতে পারে। এমন কল স্ক্রিনে দৃশ্যমান হলে প্রথমে তা রিসিভ না করার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সতর্কতা হিসেবে কলার আইডি অ্যাপ থেকে আগন্তুক নম্বরটি যাচাই করে নিতে হবে। ধারণা পেতে হবে কলটি কোন দেশের কোড নম্বর। ঠিকঠাক বুঝে নিতে হবে নিজের পরিচিত বা দূরের আত্মীয়ের কাছ থেকে এমন নম্বরে ফোনকল আসতে পারে কিনা। অর্থাৎ সন্দেহ হলে কল না ধরাই উত্তম।
অনেক সময় এমন সন্দেহজনক কোনো নম্বর থেকে মিসড কলের আশ্রয় নিতে পারে প্রতারক চক্র। উদ্দেশ্য যেন ফিরতি কল ব্যাক করা হয়। এমন নম্বরে ফোনকল করলে দেখবেন, নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অজান্তেই নিয়ম ব্যতিরেকে বাড়তি টাকা চার্জ হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই সব নম্বর প্রিমিয়াম ক্যাটেগরিভুক্ত। তাই সন্দেহ হয় এমন নম্বরে ফিরতি কল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কল স্পুফিং কী
বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতারক চক্র হয়তো দেশে বসেই ‘কল স্পুফিং’ পদ্ধতিতে বোকা বানানোর কৌশল করে। অর্থাৎ প্রতারক হয়তো রাজধানী বা দেশের কোথাও বসে টার্গেটকে ফোন করছে। কিন্তু নিজের কাছে এমন ফোনকল এলে তাৎক্ষণিক ধারণা হওয়াটা স্বাভাবিক যে কলটি বিদেশি কোনো নম্বর থেকে আসছে। প্রতারক চক্র টার্গেটকে ধরাশায়ী করতে বহুমুখী আর ছদ্মবেশী কৌশলের আশ্রয় নেয়।
সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন করে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে লটারি জিতেছেন বা বিদেশ থেকে কোনো বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে দামি উপহার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হতে পারে। খেয়াল রাখবেন, লোভের ফাঁদে পা না দেওয়াই উত্তম। কারণ, বিষয়টি পুরোপুরি ফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে আজকাল যেসব প্রতারণা চলছে, বিশেষ ক্ষেত্রে কল স্পুফিং পদ্ধতির ব্যবহার এখন লক্ষণীয়। ওপাশ থেকে বলবে, আপনার নামের পার্সেল বিদেশে আটকে দেওয়া হয়েছে। ঠিক সে কারণেই অনলাইনে তাৎক্ষণিক প্রশ্নোত্তর করতে হবে। আগন্তুক সেসব নম্বর থেকে এমন ফোনকল আসতে পারে। ভয় না পেয়ে তখন ঠান্ডা মাথায় ভেবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।
আবার সেক্সটরশনের মতো প্রতারণার উদ্দেশ্যে চক্রটি বিদেশি কোড নম্বরের আশ্রয় নিতে পারে। খটকা লাগলে বা উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে পরে www.justice.gov/criminal/criminal-ccips সাইটে প্রতারণার ঘটনা ও নম্বর যুক্ত করতে পারবেন। এতে অনেক সময় দারুণ সুফল পাওয়া যায়।
কলের মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া চক্র সাধারণত উৎসবকে লক্ষ্য করে বিশেষ পরিকল্পনা করে।
কারণ, ওই সময়ে ক্রেতাদের নানামুখী ব্যস্ততা থাকে। তাই সব কলকে ঠিকঠাক যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং উৎসবের সময় ডিজিটাল গ্রাহকদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।