যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 22nd, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বাবু মোল্লা নামে যুবলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ঘটনার পর থেকে বাবু পলাতক। সে উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। তার বাবার নাম সামসুল মোল্লা।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধায়। এখন আলু তোলার মৌসুম হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে কাজ করতে টঙ্গিবাড়ীতে এসেছেন। ইউনিয়নের একটি গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন তারা এবং আলু তোলার কাজ করেন। শুক্রবার বিকেলে তাঁর স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে বাবু এবং কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে চলে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বাবু পলাতক। তার বাবা ধর্ষণের শিকার নারীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। টঙ্গিবাড়ী থানার এসআই মো.
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিশুকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে পরিতোষ চন্দ্র নামে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবারের এ ঘটনায় শনিবার ফুলবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। থানার ওসি খন্দকার মহিব্বুল জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারের এ ঘটনায় শনিবার সদর থানায় মামলা হয়েছে। আসামির নাম মজিবুর রহমান সরদার ওরফে বেনু (৭০)। সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দিদারুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে আসামি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ১৩ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জসিম মোল্যা নামে এক ভ্যানচালককে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এদিন বিকেলে ভ্যান চালিয়ে উপজেলার এক গ্রামে যায় জসিম। পরে একটি বাড়িতে পানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশুর মা পাশের বাড়ি থেকে এসে দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে জানান। তখন তারা জসিমকে ধরে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই জসিমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী। গতকাল বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে মো. মুরাদ নামে এক যুবক। ঘটনার পর বিষয়টি জানাতে মুরাদের বাড়ি যান ভুক্তভোগীর স্বামী। সেখানে তাঁকে মারধর করে তারা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আদিতমারী থানায় মুরাদসহ পাঁচজনের নামে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। অন্য আসামিরা হলো– মুরাদের বাবা হাসান আলী, দুই ভাই মিজানুর ও মাহিন এবং হাসানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম। বাদীর অভিযোগ, আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ১৮ দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে রংপুরের নব্দীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজারহাট থানার ওসি তছলিম উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর শ ক রব র র এ ঘটন য় শ উপজ ল য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাটির পাত্রে রাখা পানি
এক সময় মানুষ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বাসনপত্রে রান্না করত। পানি সংরক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা হতো মাটির পাত্র। এ অভ্যাস তৎকালীন প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করত। সময়ের বিবর্তনে আবারও ফিরে এসেছে সেই চল। অনেকে আজকাল পানি সংরক্ষণের জন্য মাটির ফিল্টার ও জগ ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার পানি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন মাটির মগ বা গ্লাস। মাটির পাত্রে রাখা পানি পানে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন–
প্রাকৃতিকভাবে পানি ঠান্ডা রাখে
মাটির পাত্রে রাখা পানি প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা থাকে। এ গরমে বাইরে থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি না খেয়ে এ পাত্রে রাখা পানি পান করুন। এতে শরীর শীতল হবে।
হজম শক্তিকে উন্নত করে
মাটির পাত্রে পানি রেখে পান করলে হজম শক্তি উন্নত হয়। মাটিতে থাকা ক্ষার পানির অম্লতা নিরপেক্ষ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। সেই সঙ্গে মাটিতে থাকা খনিজ ও লবণ হজমের জন্য উপকারী। মাটির পাত্রে রাখা পানি পানে এসিডিটি, ফোলাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা কমে। শরীরে টক্সিক কেমিক্যালের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মাটির পাত্রে রাখা পানি।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে
প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক একটি সাধারণ সমস্যা। মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ এ পাত্রে পানি থাকায় খনিজ এবং পুষ্টি উপাদানগুলো অক্ষত থাকে। এর ফলে শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়।
পানির গুণমান উন্নত
মাটির পাত্র কেবল পানি ঠান্ডা করে না, বরং প্রাকৃতিকভাবে পানি বিশুদ্ধ করার জন্যও কার্যকর। কাদামাটি দিয়ে তৈরি ছিদ্রযুক্ত মাটির পাত্র প্রাকৃতিকভাবে পানি ফিল্টার করে। যার ফলে পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।
স্বাদ বাড়ায়: মাটির পাত্র রাখা পানি পান করলে পানিতে অন্য রকম এক স্বাদ ও সুগন্ধ যোগ হয়। মাটির বিভিন্ন উপাদান পানিতে মিশে স্বাদটা ভিন্নমাত্রা পায়। এ কারণে এই পানি খেতে অনেক সতেজ লাগে।
পরিবেশবান্ধব
প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে মাটির পাত্র বেশি ভালো হওয়া কারণ, এটি পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া কাচের বোতলের চেয়ে মাটির বোতল ব্যবহার করা সাশ্রয়ী। মাটির পাত্র দীর্ঘ সময় ব্যবহারও করা যায়। v
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, হেলথ শটস