বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে জেলেদের প্রণোদনার চালের ২৭টি স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শাহে আলম বেপারি ওই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। গত বুধবার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কালাম বেপারির দোকান থেকে স্লিপগুলো নিয়ে যান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি সেগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুলো ফেরত দেননি শাহে আলম।

কালাম বেপারি জানান, ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা গত ১ মার্চ শুরু হয়েছে। এই সময়ের জন্য তালিকাভুক্ত জেলেরা দু’বারে মোট ৮০ কেজি চাল পাবেন। এ জন্য সুবিধাভোগী জেলেকে স্লিপ দেওয়া হবে, সেটি দেখিয়ে তিনি চাল তুলবেন।

কালাম জানান, তাঁর ওয়ার্ডে চাল পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত জেলে ১৮০ জন। সংশ্লিষ্টদের স্লিপ বিতরণের পর অবশিষ্ট ২৭টি কাউরিয়া বাজারে তাঁর দোকানে রাখা ছিল। গত বুধবার দোকানে তাঁর ছেলে ছিল। শাহে আলম দোকানে গিয়ে ছেলেকে হুমকি দিয়ে স্লিপগুলো নিয়ে যান। কালাম বিষয়টি ইউএনওকে জানানোয় শনিবার সকালে দোকানে গিয়ে তাঁকে গালাগাল করেন শাহে আলম।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহে আলম সমকালকে বলেন, তিনি জেলেদের স্লিপ নেননি।

ইউএনও ইলিয়াস সিকদার বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি শাহে আলমকে স্লিপগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছেন। উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই স্লিপগুলোর বিপরীতে চাল বিতরণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাফফার তালুকদার বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে শাহে আলম গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে অনেক অপকর্ম করেছেন। তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছেন না। জেলেদের প্রণোদনার চালের স্লিপগুলো তাঁকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল ব এনপ ব এনপ ব ষয়ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রণোদনার চালের স্লিপ নিয়ে গেলেন বিএনপি নেতা

বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে জেলেদের প্রণোদনার চালের ২৭টি স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শাহে আলম বেপারি ওই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। গত বুধবার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কালাম বেপারির দোকান থেকে স্লিপগুলো নিয়ে যান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি সেগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুলো ফেরত দেননি শাহে আলম।

কালাম বেপারি জানান, ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা গত ১ মার্চ শুরু হয়েছে। এই সময়ের জন্য তালিকাভুক্ত জেলেরা দু’বারে মোট ৮০ কেজি চাল পাবেন। এ জন্য সুবিধাভোগী জেলেকে স্লিপ দেওয়া হবে, সেটি দেখিয়ে তিনি চাল তুলবেন।

কালাম জানান, তাঁর ওয়ার্ডে চাল পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত জেলে ১৮০ জন। সংশ্লিষ্টদের স্লিপ বিতরণের পর অবশিষ্ট ২৭টি কাউরিয়া বাজারে তাঁর দোকানে রাখা ছিল। গত বুধবার দোকানে তাঁর ছেলে ছিল। শাহে আলম দোকানে গিয়ে ছেলেকে হুমকি দিয়ে স্লিপগুলো নিয়ে যান। কালাম বিষয়টি ইউএনওকে জানানোয় শনিবার সকালে দোকানে গিয়ে তাঁকে গালাগাল করেন শাহে আলম।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহে আলম সমকালকে বলেন, তিনি জেলেদের স্লিপ নেননি।

ইউএনও ইলিয়াস সিকদার বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি শাহে আলমকে স্লিপগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছেন। উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই স্লিপগুলোর বিপরীতে চাল বিতরণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাফফার তালুকদার বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে শাহে আলম গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে অনেক অপকর্ম করেছেন। তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছেন না। জেলেদের প্রণোদনার চালের স্লিপগুলো তাঁকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় সাঁওতাল হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল-সমাবেশ