লক্ষ্মীপুরে ক্রেতার প্রথম পছন্দ দেশি পোশাক। তাদের কথা, বিদেশি পোশাকের দাম বেশি, মানও আহামরি কিছু নয়। বিত্তবানদের ঝোঁক ঠিকই বাইরের পোশাকের দিকে। তারা ঘুরছেন সারারা, গারারার পেছনে।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেট, আউট লুক, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, পৌর সুপারমার্কেট, মেগা গ্যালারি, বুটিক হাউস, রামগঞ্জ জিয়া কমপ্লেক্স, রায়পুরের গাজী কমপ্লেক্স, হায়দরগঞ্জ গাজী মার্কেটে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। 
লক্ষ্মীপুর পৌর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এবার বাজার পরিস্থিতি অনেক ভালো।’
ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানি সুতির থ্রি পিস, সারারা, গারারা। এসব পোশাক কিনতে বেশি ভিড় দেখা গেছে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ওয়েলকাম ও অঙ্গশোভা মার্কেটে। নারী ক্রেতার সমাগম বেশি। রায়পুর বামনী এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় থ্রি পিসের দাম প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর যে থ্রি পিসের দাম দুই হাজার টাকা ছিল এ বছর তা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারে ঠেকেছে। শাড়ির দামও কিছুটা বেড়েছে।’ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী সেকান্তর মিয়া তাঁর চার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন পৌর মার্কেটে। তিনি বলেন, ‘মার্কেটে অনেক ভিড়। সব জিনিসের দাম বেশি।’
একই মার্কেটে কথা হয় স্কুলশিক্ষিকা নুর নাহার বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি শপিং করতে। তিন মেয়ে, এক ছেলেসহ আর আমার জামা কেনাতেই সব টাকা শেষ। জুতা কিনতে পারিনি।’ সদর উপজেলার হাটবাজার মার্কেটের ক্রেতা ফখর উদ্দিন, সাজু বেগম ও নুর নাহার আক্তার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের কালেকশন ভালো। তবে দামও বেশি। 
চরলরেঞ্চ বাজারের চমক টেইলার্স অ্যান্ড ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাকছুদুর রহমান জানান, এখন দোকানের কারিগররা দিন-রাত সমানে কাজ করছেন। সবচেয়ে বেশি সেলাই হচ্ছে বোরকা ও থ্রি পিস। ফ্রেন্ড মার্টের ম্যানেজার আরজু মোল্লাহ্ বলেন, ‘সাধারণত শবেবরাতের পর থেকেই আমাদের ঈদের বিক্রি শুরু হয়। এ বছর একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণ তত বাড়বে।’
ফুটপাতের বিক্রেতা আজাদ, সাদ্দাম, মফিজ সরদার বলেন, ‘শিশুদের পোশাক বেশি চলছে। মার্কেটে যে পোশাকের দাম ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা, সেটি ফুটপাতে ৫০০-৭০০ টাকায় মিলছে।’
ঈদবাজারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান মাঠে কাজ করছে। দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভিজিএফের চাল সরানোর সময় দু’জন আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অসহায় ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল সরানোর সময় দু’জনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। রোববার দুপুরে উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের বারীক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জোবদুল করিম পারুলের ভাতিজা লিটন আলী ও ভ্যানচালক ভিখু আলী। 

এলাকার লোকজন জানায়, দুপুরে চাল বিতরণের সময় ভ্যানে করে বস্তা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে বারীক বাজার এলাকায় দু’জনকে আটক করা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর রেজা তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমার ইউপির এক সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে তা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইউপি সদস্য জোবদুল করিম পারুলের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ মেলেনি। ভ্যানচালক ভিখু আলী বলেন, একই ভ্যানে করে তিনি আরেক ভ্যান চাল ইউপি সদস্য পারুলের বাসায় রেখে এসেছেন। দ্বিতীয় দফায় নেওয়ার সময় জনসাধারণ তাঁকে আটক করে।  

শিবগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজাহার আলী বলেন, তিনি বিষয়টি জানতে পেরে দু’জনকেই পুলিশে দিতে বলেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ