জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে বাদ দিলে সেটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। শেখ হাসিনা প্রতিযোগী কমিয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে সফল হয়নি। আপনারাও এ রাজনীতিতে সফল হবেন না। শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, যেই ক্ষমতায় আসে আর ছাড়তে চায় না। ইলেকশন ম্যানিপুলেট করতে চায়। দেশবাসী ম্যানিপুলেট ইলেকশন মানবে না। তিনি বলেন, জিন-ভূতের আছরের মতো অনেকের ওপর ক্ষমতার আছর হয়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য তারা নানা পলিসি নিয়েছে। তাই দোসর আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীকে ডিস্টার্ব করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি সব সরকারপ্রধান স্বৈরাচারী ছিলেন বলেও দাবি করেন কাদের।

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অতিরিক্ত মহাসচিব মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরে আলম যাদু মিয়া, যুবসংহতির নেতা নাজিম উদ্দিনসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ জ এম ক দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভবনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একটি ভবনের পাশ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। যুবকের নাম তারেক রহমান ওরফে সানি (৩৫)। তাঁর হাত-পা ভাঙা ছিল।

পুলিশের ধারণা, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চুরি করতে ঢুকেছিল এই যুবক। ধাওয়া খেয়ে ভবন থেকে পড়ে তিনি মারা গেছেন।

শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যোবায়ের হোসেন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। বলা হয়, একটি ভবনের পাশে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এসআই যোবায়ের হোসেন বলেন, তাঁদের প্রাথমিক ধারণা, তারেক চুরি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দা থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে যান। কারণ, পঞ্চম তলার বারান্দায় কোনো রেলিং ছিল না। আগে চুরির অভিযোগে তারেক জেল খেটেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, তারেকের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি রাজধানীতে থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ