নির্বাচনের দিনক্ষণ, মাস সামনে আনতে হবে: আমীর খসরু
Published: 22nd, March 2025 GMT
নতুন বাংলাদেশ গড়তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ, মাস সামনে আনতে হবে। যারা দ্বিতীয় পন্থার খোঁজে আছে, তারা দেশের মানুষের ত্যাগের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর আন্দোলন করেছি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মূল বাহক হচ্ছে নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য মূল বাহক হচ্ছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার, একটি সংসদ। এই পরিবর্তন করার জন্য আর দ্বিতীয় কোনো পন্থা নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আরেকটি শক্তি অন্যভাবে নির্বাচনপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা একভাবে বাধাগ্রস্ত করেছেন, এরা কিন্তু অন্যভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের নির্বাচন না হতে পারলে মনে হয় তারা খুব খুশি।’
বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নেতা–কর্মীদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠামাত্র বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই হাজারের কাছাকাছি নেতা–কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা পত্রিকা বা যেকোনোভাবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। পরে অপরাধের সঙ্গে জড়িত না বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের দলে ফেরানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি যারা অপরাধে জড়িত, তারা যে দলেরই হোক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে দল–মত বিবেচনা করার দরকার নেই। আমরা নিজেরা সরকারে থাকলেও এটাই করতাম।’
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বিএনপি সহযোগিতা করছে, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি পক্ষ অপপ্রচার করছে। যারা প্রচার করছে তাদের কোনো আদর্শ নেই। তারা নতুন নতুন বয়ান বাজারে ছড়াচ্ছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল। বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের প্রতিটি স্তরের নেতা–কর্মী জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি নিজেও কারাগারে গেছি একাধিকবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার পরিবারও। সুতরাং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে আমরা চাই শেখ হাসিনাসহ যাঁরা অপরাধে জড়িত তাঁদের বিচার হোক। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অতি দ্রুত দৃশ্যমান বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী না।’
নগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র শাহাদাত হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমান, সাবেক সদস্যসচিব আবুল হাশেম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরী, এম এ আজিজ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র র জন র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্টারমারের প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্পের দূত
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে ‘ভঙ্গিমাপূর্ণ ও কৌশলী’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তাঁর এ মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
উইটকফ বলেন, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ‘অতি সরলীকৃত’ ধারণা পোষণ করছেন এবং ‘চার্চিল হওয়ার অভিনয় করছেন’।
সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে খারাপ ব্যক্তি হিসেবে দেখি না। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।’ তবে উইটকফের কিছু বক্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিকে, সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগে কিয়েভে রুশ ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা ‘কিছুটা সফল’ হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তিসংগত আলোচনার মাধ্যমেই এ যুদ্ধের সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, জেলেনস্কি রাশিয়ার অব্যাহত হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, রুশ হামলা এখন ইউক্রেনের ‘প্রতিদিনের বাস্তবতা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রুশ হামলা বন্ধ ও যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য মস্কোর ওপর আরও চাপ প্রয়োজন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোরদারে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সিএনএন জানায়, ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে জার্মানি তাদের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ ঘোষণা করেছেন, দেশটি জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করবে। সামরিক খাতে বাজেট বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে জার্মান সংসদ। যেখানে আগামী ১০ বছরে ৬০০ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।