জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। একটি পক্ষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা প্রোপাগান্ডা ছাড়াচ্ছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রংপুর ডিভিশন রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেই। অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মুখোমুখি অবস্থানে তারা দাঁড়াবেন না।

মব জাস্টিস ও ন্যায়বিচার সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে হবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক হয়ে গেলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে পারব। সংস্কারগুলো কোন পর্যায়ের হবে তাও ঠিক হয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে। 

গণমাধ্যমে যাতে মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেই বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ