তিতাস নদের মাটি লুট বন্ধ করতে চারটি বাঁধ গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
Published: 22nd, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাটি কাটা বন্ধে তিতাস নদের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত চারটি বাঁধ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে মাটি কেটে লুট করা বন্ধ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যৌথভাবে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে এসব বাঁধ ভেঙে পানি চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে আমাদের অভিযান চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাউবো, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারটি স্থানে অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ এক্সকাভেটর দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। ওই দিন রাতে বাঁধগুলো তারা আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে জোড়া লাগিয়ে ফেলে। শুক্রবার আবার অভিযান পরিচালনা করে বাঁধগুলো সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নদে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে।’ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ‘পানি শুকিয়ে মাটি কেটে লুট’ শিরোনামে প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আখাউড়া উপজেলার তিতাস নদের বনগজ স্টিলের সেতুর উত্তর দিকে কয়েক শ গজ দূরে নদের দুই পাড় বরাবর মাটি দিয়ে দুটি এবং সেখান থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আরেকটি বাঁধ দেওয়া হয়। তিনটি বাঁধের মাঝখানের পানি শুকিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি তুলে ট্রাকে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। নদে বাঁধ ও পানি শুকিয়ে ফেলায় পাশের ফসলি জমিতে সেচ দিতে পারছিলেন না স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা বাঁধ ও মাটি উত্তোলনে বাধা দিলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৃষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
১২ মার্চ নদের মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আখাউড়ার ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এতে মাটি কাটার কাজে সদর উপজেলার উজানিসার গ্রামের আরিফুল মীর, একই গ্রামের নুরুজ্জামান ও আল আমিন ভূঁইয়া জড়িত বলে উল্লেখ করেন। যদিও আরিফুল মীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন এলাকায় আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় লোকজন প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকার বালু ও মাটি লুটপাট করেছেন। সরকার পতনের কারণে কিছুদিন এসব লুটপাট বন্ধ থাকার পর হাত বদল হয়ে নতুন আরেকটি প্রভাবশালী চক্র নদের তিন স্থানে বাঁধ দিয়ে মাটি লুটের মহোৎসব শুরু করে। মাটি লুটের জন্য তিতাস নদের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ত স নদ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তিতাস নদের মাটি লুট বন্ধ করতে চারটি বাঁধ গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাটি কাটা বন্ধে তিতাস নদের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত চারটি বাঁধ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে মাটি কেটে লুট করা বন্ধ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যৌথভাবে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে এসব বাঁধ ভেঙে পানি চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে আমাদের অভিযান চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাউবো, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারটি স্থানে অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ এক্সকাভেটর দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। ওই দিন রাতে বাঁধগুলো তারা আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে জোড়া লাগিয়ে ফেলে। শুক্রবার আবার অভিযান পরিচালনা করে বাঁধগুলো সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নদে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে।’ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ‘পানি শুকিয়ে মাটি কেটে লুট’ শিরোনামে প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আখাউড়া উপজেলার তিতাস নদের বনগজ স্টিলের সেতুর উত্তর দিকে কয়েক শ গজ দূরে নদের দুই পাড় বরাবর মাটি দিয়ে দুটি এবং সেখান থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আরেকটি বাঁধ দেওয়া হয়। তিনটি বাঁধের মাঝখানের পানি শুকিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি তুলে ট্রাকে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। নদে বাঁধ ও পানি শুকিয়ে ফেলায় পাশের ফসলি জমিতে সেচ দিতে পারছিলেন না স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা বাঁধ ও মাটি উত্তোলনে বাধা দিলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৃষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
১২ মার্চ নদের মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আখাউড়ার ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এতে মাটি কাটার কাজে সদর উপজেলার উজানিসার গ্রামের আরিফুল মীর, একই গ্রামের নুরুজ্জামান ও আল আমিন ভূঁইয়া জড়িত বলে উল্লেখ করেন। যদিও আরিফুল মীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন এলাকায় আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় লোকজন প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকার বালু ও মাটি লুটপাট করেছেন। সরকার পতনের কারণে কিছুদিন এসব লুটপাট বন্ধ থাকার পর হাত বদল হয়ে নতুন আরেকটি প্রভাবশালী চক্র নদের তিন স্থানে বাঁধ দিয়ে মাটি লুটের মহোৎসব শুরু করে। মাটি লুটের জন্য তিতাস নদের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।