পথশিশু ও গৃহহীনদের নিয়ে জবি হিউম্যান রাইটসের ইফতার
Published: 22nd, March 2025 GMT
পথশিশু ও গৃহহীনদের নিয়ে ইফতার আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
শনিবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষ্কর্য চত্বরে প্রায় অর্ধশতাধিক পথশিশু ও গৃহহীন মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন সংগঠনের সদস্যরা। এতে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও সদরঘাট এলাকার পথশিশু ও গৃহহীনরা অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, “এটি শুধু একটি ইফতার আয়োজন নয়, বরং সমাজের অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন এ ধরনের মানবিক কার্যক্রমে অংশ নেয়, তখন তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
তিনি বলেন, “এ উদ্যোগ পথশিশু ও গৃহহীনদের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেবে এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার চর্চার সংস্কৃতি আরো বিস্তৃত হবে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসা উচিত।”
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “খাদ্য মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। আজ যখন ফিলিস্তিনে হাজারো পথশিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, আমরা হয়তো চাইলেও তাদের কাছে সরাসরি খাবার পৌঁছে দিতে পারি না। তবে আমরা আমাদের আশেপাশে থাকা ক্ষুধার্ত শিশু ও গৃহহীন মানুষদের জন্য কিছু করতে পারি। তাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের উচিত নিজেদের পরিবেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ইফত র পথশ শ
এছাড়াও পড়ুন:
২২ বছর পর তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার
রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের শাসকদল তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তকমা প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন থেকে রাশিয়ায় তালেবান বৈধভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে।
চার বছর আগে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণকারী তালেবানকে ২০০৩ সাল থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাশিয়া। তাই এত দিন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বাহিনী প্রায় দুই দশক অবস্থানের পর ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর থেকে তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত মধ্য এশিয়ার দেশটিকে স্থিতিশীল করতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলারও আহ্বান জানাতে থাকেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত চার বছরে তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছেন। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আফগানিস্তানের ‘বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা প্রয়োজনীয়’। কারণ আফগানিস্তানে বর্তমানে তাঁরাই ক্ষমতায়।
২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয় তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। চলতি মাসের শুরুতে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব জমা দেয়। গতকাল প্রস্তাবটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান সুপ্রিম কোর্ট।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশক আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ছিল। তখন তাঁরা দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অর্থাৎ তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতময় অতীত রয়েছে। তবে মস্কোর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার তালেবানকে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য করতে সহায়তা করবে।
গত কয়েক বছরে এশিয়ার অন্যান্য দেশও তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালে কাজাখস্তান তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার করে। পরের বছর একই পথে হাঁটে কিরগিজস্তান।
তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। নারীদের প্রতি তালেবানের মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলে চরমভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে।
স্বীকৃতি না দিলেও কাবুলে বর্তমানে চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইরানের দূতাবাস রয়েছে। তালেবানের অধীনে ২০২৩ সালে আফগানিস্তানে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে চীন।