শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
Published: 22nd, March 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর গহীন পাহাড়ে ফেলে দেওয়া এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত মোহাম্মদ রাসেল (২৫) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
নৌবাহিনীর বরাতে ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া এলাকায় রাসেলকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ১০-১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মারধর করতে করতে কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে নৌবাহিনীর একটি দল তাকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নৌবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রাসেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়।
নৌবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মারা যান।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল।
এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/তারেকুর/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে রোববার তাঁকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এ খবরে তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। বিভিন্ন শহরে রাতভর চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শত শত বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার রাতে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্থিরতা দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ দিন সন্ধ্যার আগেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইস্তাম্বুল সিটি হলের সামনে জড়ো হয়। তুর্কি পতাকা হাতে নিয়ে তারা দাঙ্গা পুলিশের সামনে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে এবং পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে। তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের কারণে অনেক শহরে রাস্তার জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও রোববার টানা পঞ্চম রাতেও বেশির ভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫৫টিতে বিক্ষোভ হয়েছে, যা পুরো দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। সিটি হলের সামনে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার উদ্দেশে ইমামোগলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে করা এই অবিচার প্রতিটি বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
সোমবার তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মধ্যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির একজন ফটোগ্রাফারও রয়েছেন বলে রয়টার্স জানায়।
এদিকে ইমামোগলুকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাঁর রাজনৈতিক দল সিএইচপি। সোমবার দলের একজন মুখপাত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিপলস রিপাবলিক পার্টি বা সিএইচপি একটি বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল এবং এই মুহূর্তে তুরস্কের বৃহত্তম বিরোধী দল। ৫৮ বছর বয়সী ইমামোগলু সিএইচপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।