জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, তারেক জিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি এনে দিয়েছেন।

এ পরিস্থিতি বজায় রাখতে হলে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (২২ মার্চ) রুপগঞ্জ থানা, তারাব ও কাঞ্চন পৌর জাসাস এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সানি। 

শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়নি, তাকে পালাতে সাহায্য করা হয়েছে উল্লেখ করে সানি বলেন, বিগত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার যে দুঃশাসন দেখেছেন।

স্বাধীনতার পর ৭২ সালে তার পিতার নেতৃত্বে এ দুঃশাসন ছিল, দুর্নীতি ছিল, অত্যাচার ছিল, নির্যাতন ছিল, খুনখারাবি ছিল, গুম-খুন ছিল। বাপ-আর বেটির মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। বাবাকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেইফ এক্সিট দেওয়া হয়েছিলো। আর ৫ আগস্ট সেইফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে।

সে পালিয়ে যায়নি তাকে সহায়তা করা হয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তারা যে টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। বাহিরে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।  

ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন রুপগঞ্জ থানা জাসাস এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসস এর সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আনোয়ার হোসেন সুমন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সভাপতি মোঃ স্বপন চৌধুরী বলেন, ১৭ বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। দেশকে গড়ার জন্য যদি আরও ২-৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়, দেশের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য। সেই ত্যাগ স্বীকার করতেও আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আমরা যারা জাসাস সংগঠনের সাথে জড়িত আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। টেন্ডারবাজি আমাদের চাওয়া পাওয়া নয়। সন্ত্রাস আমাদের চাওয়া পাওয়া নয়। লুটপাট আমাদের চাওয়া পাওয়া হতে পারে না।  আওয়ামী লীগ যে পথে হাঁটছে, বিএনপি সেই পথে হাঁটতে পারে না। কারণ আমরা জনগণের প্রত্যাশাকে, জনগণের চেতনাকে ধারণ করি।  

স্বপন চৌধুরী আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক জিয়া বলেছেন আগামীতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। এই কঠিন পথ অতিক্রম করতে হলে আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে।

জনগণের সেবা করে এবং বিপদে পাশে দাড়িয়ে তাদের মন জয় করতে হবে। তাহলেই আমরা জনগনের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পাবো। নয়তো কোনভাবেই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। সুতরাং আমাদের সকলকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র জনগণ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

`সাজা মাইন্যা নিছি, কিন্তু ন্যায্য বিচার পাইনি’

‘আমার ৫১টা গাভী ছিলো। প্রতিদিন ৩৫০-৩৬০ লিটার দুধ পাই। হাতিরপুলের বাড়ি থেকে আমার মা তিনটা ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিছে আমাকে বাড়ি করে দেওয়ার জন্য। আমার আয়কর নথির বাইরে কিছু পাইনি। তারপরও এই সাজা আমি মাইন্যা নিছি, কিন্তু ন্যায্য বিচার পাইনি।’

রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের আব্দুল মালেক এসব কথা বলেন।

মালেক বলেন, “আমি ৩৮ বছর ৯ মাস ১৮ দিন সরকারি চাকরি করেছি। সরকার আমাকে চার বছরের বেতন, ওভারটটাইমের টাকার হিসাব নিছে। বাকি ৩৫ বছর বিনা বেতনে চাকরি করেছি? আমার বাড়িতে আয়কর নথির বাইরে কিছু পাই নাই। মাত্র চার বছরের বেতন মামলার মধ্যে নথিভূক্ত করেছে। আর বাকি ৩৫ বছর বেতন ছাড়া চাকরি করলাম।'

তিনি বলেন, “হাতিরপুলের বাড়ি থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি, দাদার সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বিক্রি করে বাড়ি করি। অন্য যে সব সম্পদ দেখায়ছে কিছু পাই নাই। সরকার আমার নামে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছি। অথচ ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদের ট্যাক্স আমি দেয়। ট্যাক্স ফাইলের বাইরে কিছু নাই। আমারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা দিছে।”

দণ্ডিত এ ব্যক্তি বলেন, “আপনারা জানেন করোনাকালীন সময় আমাদের অফিসে যে অকারেন্স ঘটছে। সে সময় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের নিরীহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিছে। আর মিডিয়া দেখায় আমার কোটি কোটি টাকা সম্পদ। কিন্তু মামলায় তো এগুলি নাই। মামলায় দেখায়ছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আমি ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার ট্যাক্স দেয়। এর বাইরে কিছু নাই। অথচ দেখেন ষড়যন্ত্রের মামলায় আমি সাজা পেলাম। টাকা কি আমি জেলখানায় নিয়ে গেছি। আমার সম্পদগুলি গেল কোথায়? মিথ্যা মামলা দিলো। কেন আমার নামে মিথ্যা মামলা দিলো। দেশে কি একটাও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি নাই। মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতেছি।”

জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে মর্মে আদালত আদেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানান দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা।

রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের আরেক মামলায় রায় প্রস্তুত না হওয়া পিছিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • `সাজা মাইন্যা নিছি, কিন্তু ন্যায্য বিচার পাইনি’
  • এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা বিভক্তি তৈরি করে: নুরুল হক
  • দৈনিক সচেতনের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
  • বিশিষ্টজনদের নিয়ে না’গঞ্জ মহানগরী জামায়াতের ইফতার মাহফিল  
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে: রাশেদ খান
  • সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, সেটাকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মনে করছি: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • আবারও ১/১১ এর কুশীলবরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে: দুলু
  • গরীব দু:স্থদের মাঝে তারেক রহমান ঈদ উপহার দিলো জেলা যুবদল
  • সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, বললেন জি এম কাদের