বাইডেন ও হ্যারিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
Published: 22nd, March 2025 GMT
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ রাজনৈতিক বিরোধীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার তিনি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছেন।
নিরাপত্তার ছাড়পত্রের বদৌলতে আমেরিকার গোপন তথ্যাবলি পেয়ে থাকেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন বাইডেন। তিনি বলেছিলেন, “ট্রাম্পের আচরণ প্রমাণ করে, তিনি আর গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন। তাই ওই ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।”
শুক্রবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, “বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা তার এই সংক্রান্ত নিরাপত্তার ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি। প্রতিদিন তার কাছে যে গোপন খবরগুলো যেত, তা আর যাবে না। এই উদাহরণটি তৈরি করেছেন বাইডেন নিজেই। ২০২১ সালে তিনি আমার নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনো খবর না দেওয়া হয়। সাবেক প্রেসিডেন্টেরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।”
বাইডেনের স্মৃতিশক্তিকে ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প লিখেছেন, “রিপোর্টে দেখা গেছে বাইডেনের স্মৃতিশক্তি বেশ কম। গোপন তথ্য নিয়ে তাকে ভরসা করা যায় না। আমি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাকে সব সময় সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করব।”
বাইডেন এবং হ্যারিস ছাড়াও যাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য লিজ চেনি, অ্যাডাম কিনজিঙ্গার এবং নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ২০২১ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি তাঁদের এই বিচ্ছেদকে ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
সাবেক ধনকুবের ব্যবসায়ী স্বামী বিল গেটসের একটি মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহ পর মেলিন্ডা ফেঞ্চ এই প্রথম মুখ খুললেন। ওই মন্তব্যে বিল গেটস তাঁদের এই বিচ্ছেদকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অনুতাপের বিষয় বলে মন্তব্য করেছিলেন।
দ্য টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা গেটস এ কথা করেন। ওই সাক্ষাৎকার গত রোববার প্রকাশিত হয়। সেখানে বিল গেটসের মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এমন কিছু, যা ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল।
মেলিন্ডা ফেঞ্চ বলেন, ‘আপনি যদি আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে নিজের মূল্যবোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে না পারেন, তাহলে সেটা ছেড়ে যাওয়াই প্রয়োজনীয় ছিল।’
অবশ্য মেলিন্ডা মানবহিতৈষী তাঁর সাবেক স্বামী বিল গেটসের মন্তব্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। তবে তিনি যোগ করেন, ‘আমি আসলে জানি না, তিনি ওই বক্তব্য দিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন। সুতরাং তাঁর বক্তব্য নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।’
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘তাঁর নিজের জীবন আছে, আমার নিজের জীবন আছে। আমি এখন অনেক সুখী।’
মেলিন্ডা গেটস আরও বলেন, এই বিচ্ছেদ তাঁর ওপর আবেগপূর্ণ গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁদের আলাদা থাকা অবস্থায় তিনি ‘প্যানিক অ্যাটাক’–এর শিকারও হয়েছেন।
বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী বলেন, একটা বিবাহবিচ্ছেদ খুবই কঠিন। আর আলোচনা-সমঝোতাও খুব কঠিন।’
মেলিন্ডা বলেন, ২০১৪ সালে বিল গেটসের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজের সময় তিনি প্রথম ‘প্যানিক অ্যাটাক’ অনুভব করেন। তার পর থেকেই তিনি থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া শুরু করেন। তখনো তাঁরা স্বামী–স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে ছিলেন।
শুরুর দিকে মেলিন্ডা থেরাপি নিয়ে সন্দিহান থাকলেও পরে এর উপকারিতা বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ এই নয় যে আমি ভেঙে পড়েছি। এর অর্থ, আমি কঠিন বিষয়ের মধ্য দিয়ে গেছি, যেগুলো নিয়ে আমাকে বোঝাপড়া করতে হয়েছে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে এনবিসির ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে নিজের নতুন বই ‘সোর্স কোর্ড’ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিল গেটসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন তিনি এই বিবাহবিচ্ছেদকে নিজের ‘সবচেয়ে বড় অনুশোচনা’ বলে মনে করছেন।
জবাবে বিল বলেছিলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদটা ভালো কিছু ছিল না। কিন্তু আমাদের তিনটি সন্তান, আমরা একসঙ্গে যেসব কাজ করতে পেরেছি—এমনকি আমি যদি জানতাম যে এই সংসার চিরস্থায়ী হবে না, তবু আমি আবারও সেটাই করব।’
বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ২০২১ সালে ২৭ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে—ফিবি গেটস (২২), ররি গেটস (২৫) ও জেনিফার গেটস নাসার (২৮)।