আবাসন ও বায়িং হাউস ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা। মাদক কারবার তিনি পারিবারিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ছোট বোন তানিয়া, বোনের স্বামী মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুককে যুক্ত করেছেন এই কারবারে। 

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সরাসরি ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রতিমাসে অন্তত একটি ইয়াবার বড় চালান ঢাকায় নিয়ে আসেন তারা। সর্বশেষ গত শুক্রবার এক লাখ ৬০ হাজার পিসের চালান নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশের পর হাতিরঝিল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ওই তিনজনসহ গাড়ি চালক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন। আজ শনিবার চারজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইয়াবা উদ্ধার ও গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত আজ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ডিএনসির ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। নজরুলের স্থায়ী বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায়। তবে বাস করেন ডেমরার কোনাপাড়ায়। তার বোন তানিয়া ও তানিয়ার স্বামী ফারুকও কোনাপাড়ার ওই বাসায় বাস করেন। তবে ফারুকের পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের খুলশী থানায় এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত আল মামুন কারবারি নজরুরের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরে। তবে বাস করেন কোনাপাড়ায়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল, তার বোন তানিয়া ও বোনের স্বামী ফারুক ইয়াবার গডফাদার। 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নজরুলের বায়িং হাউস ও আবাসন ব্যবসা রয়েছে। ইয়াবা বিক্রির টাকা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতিমাসে নজরুল একটি করে ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন ঢাকায়। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ক্রেতার কাছে এই মাদক বিক্রি করেন। আনুমানিক তিন মাস আগে ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানতে পারেন, নজরুল ও তার চক্র টেকনাফ থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে ইয়াবার বড় চালান আনে। তাদের ওপর কড়া নজরদারী রাখলেও কৌশলে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল। গত মাসে তাদের ধরতে একটি অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

ডিএনসির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সপ্তাহখানেক আগে জানা যায়, চক্রটি আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ঢাকায় এনে মজুত করবে। তারা টেকনাফের একটি রির্সোটে বিলাসবহুল গাড়ির (হুন্দাই) পাদানীর নিচে প্যানেলে বিশেষ কৌশলে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে প্যানেলটি ঝালাই করে। এরপর ইয়াবাসহ গাড়ি নিয়ে তারা ঢাকায় আসেন। গাড়িতে চালক মামুন ছাড়াও নজরুল, তানিয়া ও ফারুক ছিলেন। গতকাল শুক্রবার হাতিরঝিলে তাদের গাড়ি আটকের পর তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে পাদানিতে নতুন ঝালাই করা স্থান ভেঙে ইয়াবা পাওয়া যায়। গাড়িটি নজরুলের।

সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, আজ শনিবার আদালতের নির্দেশে চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব র ড এনস নজর ল ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্কের জেরে তালাক, দুধ দিয়ে গোসল করলেন প্রবাসী স্বামী

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাইপ্রাস প্রবাসীর স্ত্রী অন্যত্র প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এরপর গ্রামের লোকজনের সামনে দুধ দিয়ে গোসল করেন ওই নারীর স্বামী বদু শিকদার নামের এক সাইপ্রাস প্রবাসী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব শদরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়রা প্রবাসীর দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। এতে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া গ্রামের প্রয়াত ফকির সুলতান আহমেদের মেয়ে সুমা আক্তারের সঙ্গে চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বশদরদী গ্রামের বাসিন্দা ও সাইপ্রাস প্রবাসী বদু শিকদারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু প্রবাসী বদু শিকদার দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায়, তার স্ত্রী সোমা বেগম অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলার পর বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হয়। এই নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক ও গ্রাম্য সালিশ হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি বদু বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। এরপর শুক্রবার সবার সামনে দুধ দিয়ে গোসল করেন।

বদু শিকদার বলেন, ‌‘বিদেশে গিয়ে অনেক কষ্টে টাকা ইনকাম করি শুধুমাত্র পরিবার ও স্বজনরা ভালো থাকবে বলে। কিন্তু আমার সেই উপার্জিত টাকাগুলো পরোকীয়ায় জড়িয়ে একাধিক যুবকের পেছনে খরচ করেছে আমার স্ত্রী। এতে আমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছি এবং তওবা করেছি।’

এ বিষয়ে সোমা বেগমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করা হলেও মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, প্রবাসী বদু শিকদারের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত মনোমালিন্য চলছিল, এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। শুক্রবার বদু শিকদারের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুধ দিয়ে গোসলের ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য
  • রাষ্ট্রদূতের প্রতারণার শিকার মেঘনা
  • প্যালেসকে ধসিয়ে লিগে সেরা চারে ম্যানসিটি 
  • বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতেই শেষ হয়ে গেল ফিলিপসের আইপিএল
  • বরিশালে প্রেমিকার ছুরিকাঘাতে প্রেমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
  • চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মিরপুরে তামিম
  • গরমে চুল ঝরা কমাতে উপকারী ঘরোয়া ৩ মাস্ক
  • পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৮ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
  • স্ত্রীর অন্যত্র প্রেমের সম্পর্কের জেরে তালাক, দুধ দিয়ে গোসল করলেন প্রবাসী স্বামী
  • স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্কের জেরে তালাক, দুধ দিয়ে গোসল করলেন প্রবাসী স্বামী