বিশিষ্টজনদের নিয়ে না’গঞ্জ মহানগরী জামায়াতের ইফতার মাহফিল
Published: 22nd, March 2025 GMT
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে শহরের বাঙলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার এর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায় উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মমিনুল হক সরকার, বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খাঁন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, গন অধিকার পরিষদ এর নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারি ইলিয়াস আহমদ, জমিয়তে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদাউস উর রহমান, ইসলামী আন্দোলন মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারি অমিত হাসান, ইসলামী এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক ডক্টর ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, প্রমূখ।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর প্রশংসা করে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায় ও জুলুম থেকে আমরা কেউ ই রেহাই পাইনি তুলনামূলক জামায়াতের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেশী ছিলো।
এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। জুলাই বিপ্লবের স্প্রিটকে নষ্ট হতে দিবোনা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইফত র ইসল ম র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, বললেন জি এম কাদের
সরকারের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের (মনোনয়ন-বাণিজ্য) যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় পার্টির রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। তখন নাকি আমি দুর্নীতি করেছি। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে জি এম কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এ আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কাফরুলে জাপার ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার পর জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে নানাবিধ ব্যর্থতার জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় চান। এরপরই আজ দুদক ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন, পদ-বাণিজ্য ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যায় জি এম কাদের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমি এমপি (সংসদ সদস্য) থাকা অবস্থায় গমসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার যে বিধান রয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই বা ছিল না।’
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতীয় পার্টির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্তি দিতে যে পথে যেতে হয়, আমরা সে পথেই এগিয়ে যাব। আমাদের জেলে নেওয়া হলে যাব, ফাঁসি দিলে দেবে। এরশাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা জনগণ মেনে নেয়নি, আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলাগুলোও জনগণ মেনে নেবে না।’
সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। বর্তমান সরকারও বিগত সরকার থেকে শিক্ষা নেয়নি। বিগত সরকারের পতন থেকে বর্তমান সরকারও শিক্ষা নিচ্ছে না। এই দিনই শেষ দিন নয়, আরও দিন আছে।
কাফরুলে ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘গতকাল আমাদের ইফতার পার্টিতে সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাদের নেতা-কর্মীদের গুরুতর আহত করেছে। সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে গণমাধ্যমকর্মীরাও রেহাই পাননি। মারধর করে ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউটিউবারদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ পথচারীরাও হামলার শিকার হয়েছেন। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা গতকাল কয়েকবার পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি। তাঁরা এসে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের তাড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছেন।’
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা গতকালও বলেছি, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে নৃশংসতার শেষ নেই।...আমি আবারও বলছি, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে, আপনারা সরে দাঁড়ান।’
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন, আলমগীর সিকদার, জহিরুল ইসলাম, জহিরুল আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।