বরিশালে পাওনা টাকার জেরে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
Published: 22nd, March 2025 GMT
পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী সিকদারকে কুপিয়ে এবং ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। পাল্টা হামলায় প্রতিপক্ষের সমর্থক বাদল খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর বাজারে সালিশ বৈঠক শেষে এ হামলা ও পাল্টা হামলা হয়। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুখাইনগর বাজারের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী রনির কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নেয় স্থানীয় তুহিন খানের ছেলে তামিম। বাকি টাকা দিতে গড়িমসি করলে রনি স্থানীয় বাজার কমিটির সেক্রেটারি এবং চরমোনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদারের কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষ সালিশ বৈঠকে বসে। এ সময় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন খান তার ছেলে তামিমকে থাপ্পড় দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়ায়। ক্ষমা চাওয়ার সময় তামিম কানে কানে রনিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকে হট্টোগোল শুরু হলে তুহিন খান ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী শিকদারের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। এ সময় তুহিনের পক্ষ নিয়ে বাদল খান মারধর শুরু করেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনকে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মেহেদী সিকদারকে কুপিয়ে যখম করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনও বাদল খানকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করেন।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতার হামলায় আহত ২
মসজিদের ভেতরে কোপানের ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৪
আহত মেহেদী সিকদার বলেন, ‘‘মাসুম মাস্টার বিএনপির নেতা হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে শেল্টার দেন। তার নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রাফসান, সারাফাতসহ বাদল, তুহিন আমাকে মারধর করেন এবং বাসা থেকে দা এনে কুপিয়ে জখম করেন।’’
আহত বাদল খান বলেন, ‘‘তুহিন খান আমার আত্মীয়। এ জন্য আমাকে দেখেই মারধর করেন এবং কুপিয়ে জখম করেন মেহেদী সিকদার ও তার লোকজন।’’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেহেদী শিকদারের পরিবারের সবাই থানায় এসেছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে পাওনা টাকার জেরে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী সিকদারকে কুপিয়ে এবং ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। পাল্টা হামলায় প্রতিপক্ষের সমর্থক বাদল খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর বাজারে সালিশ বৈঠক শেষে এ হামলা ও পাল্টা হামলা হয়। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুখাইনগর বাজারের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী রনির কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নেয় স্থানীয় তুহিন খানের ছেলে তামিম। বাকি টাকা দিতে গড়িমসি করলে রনি স্থানীয় বাজার কমিটির সেক্রেটারি এবং চরমোনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদারের কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষ সালিশ বৈঠকে বসে। এ সময় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন খান তার ছেলে তামিমকে থাপ্পড় দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়ায়। ক্ষমা চাওয়ার সময় তামিম কানে কানে রনিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকে হট্টোগোল শুরু হলে তুহিন খান ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী শিকদারের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। এ সময় তুহিনের পক্ষ নিয়ে বাদল খান মারধর শুরু করেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনকে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মেহেদী সিকদারকে কুপিয়ে যখম করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনও বাদল খানকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করেন।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতার হামলায় আহত ২
মসজিদের ভেতরে কোপানের ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৪
আহত মেহেদী সিকদার বলেন, ‘‘মাসুম মাস্টার বিএনপির নেতা হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে শেল্টার দেন। তার নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রাফসান, সারাফাতসহ বাদল, তুহিন আমাকে মারধর করেন এবং বাসা থেকে দা এনে কুপিয়ে জখম করেন।’’
আহত বাদল খান বলেন, ‘‘তুহিন খান আমার আত্মীয়। এ জন্য আমাকে দেখেই মারধর করেন এবং কুপিয়ে জখম করেন মেহেদী সিকদার ও তার লোকজন।’’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেহেদী শিকদারের পরিবারের সবাই থানায় এসেছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/পলাশ/বকুল