রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট শেল্টেক্-এর সঙ্গে যৌথ নির্মাণে লাভবান হচ্ছেন জমির মালিকেরা
Published: 22nd, March 2025 GMT
রহমান সাহেব সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছিমছাম গোছানো সংসার তাঁর। ছেলের কানাডায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়েছে, আর মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন শেষে নতুন চাকরি; কিছুদিন পরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে যাচ্ছে। তার মানে, বড় অঙ্কের খরচের সময় এসেছে তাঁর।
দূরদর্শী রহমান সাহেব এমন ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিন বছর আগেই ধানমন্ডির জমিটি শেল্টেক্ (প্রা.
তিন বছর আগে রহমান সাহেবের কাছে বহু রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ভিড় জমিয়েছিল নানা প্রলোভন নিয়ে। বাজারে জমির যে মূল্য তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি টাকা প্রদান অথবা বর্গফুট পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার মতো প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু প্রকৌশলী রহমান সাহেব জানতেন, একটি বাড়ি নির্মাণ মানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সারা জীবনের সম্পদ। বাড়ি শুধু তুললেই হয় না, লক্ষ রাখতে হয় সেটি যেন রাজউক ও বিএনবিসি কোড মেনে নির্মাণ করা হয়। কারণ, আইন অমান্য করে নির্মাণ করলে সারা জীবন টানতে হবে জরিমানা। তা ছাড়া নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর তারিখ বদলানোর দৃশ্য এই দেশে অহরহ দেখা যায়।
তাই সব দিক বিবেচনা করে রহমান সাহেব তাঁর জমি তুলে দেন শেল্টেকের হাতে। অনন্য ডিজাইনের মজবুত নির্মাণের পাশাপাশি শেল্টেকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে হাতে পাওয়া তাঁর ভবনটি সব ধরনের রাজউক ও বিএনবিসি কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে রহমান সাহেব প্রয়োজনের সময় অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করতে পেরেছেন সেরা দামে এবং ছেলে–মেয়ের পড়াশোনা বা বিয়ের মতো বড় আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েনি তাঁর কপালে।
রহমান সাহেবের মতো এমন অসংখ্য জমির মালিক আছেন, যাঁরা শেল্টেকের মান, সেবা ও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে। সম্প্রতি শেল্টেকের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে যাওয়া বেশ কিছু জমির মালিকের সঙ্গে সাক্ষাতে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি তাঁদের সন্তুষ্টির কথা। তাঁদের মতে, শেল্টেক্ যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তার চেয়েও বেশি প্রদান করে। কাজের মান এবং নিষ্ঠার দিক থেকে শেল্টেক্ অনন্য। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পেশাদারি, সততা এবং আন্তরিকতা দেখে তাঁরা অভিভূত। অনেকেই জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে শেল্টেক্-এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, বিনিয়োগের সঠিক মূল্য পেতে শেল্টেক্ এক আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
শেল্টেক্-এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে যুক্ত হওয়া জমির মালিক বা ল্যান্ডওনারদের অভিমত জানতে দেখুন ভিডিওটি…
রহমান সাহেব বা অন্যান্য জমির মালিকের মতো আপনিও যদি আপনার ঢাকা অথবা চট্টগ্রামের প্রাইম লোকেশনের জমি শেল্টেক্-এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে ডেভেলপ করতে চান, তাহলে কল করতে পারেন ০৯৬০৬৪৪৫৫৪৪ নম্বরে অথবা ভিজিট করুন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জয় ন ট ভ ঞ চ র রহম ন স হ ব
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে শিশু ধর্ষণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন স্থগিত, আসামি এলাকা ছাড়ার খবর
দিনাজপুরের সেই ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গত ৫ মার্চের ওই আদেশে আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এদিকে জামিন স্থগিতের খবর পেয়ে আসামি এলাকা ছেড়েছেন বলে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানিয়েছে।
৮ বছর ৪ মাস কারাদণ্ড ভোগের পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হন আসামি সাইফুল ইসলাম। এ নিয়ে নারী ও শিশু অধিকার কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মাগুরার শিশুটিকে নিয়ে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ–সমাবেশের মধ্যে বার বার উচ্চারিত হয়েছিল দিনাজপুরের শিশুটির কথা।
সাড়ে ৮ বছর আগে জনন অঙ্গ কেটে দিনাজপুরের সেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে শিশুটির মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হলেও এখনো প্রস্রাব ঝরে তার। শিশুটির বয়স এখন ১৩ বছর।
শিশুটির বাবা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বিচার তো পাইছিলাম, তাইলে এমন হইল ক্যানে? যাবজ্জীবনের আসামি ছাড়া পাইল ক্যানে? সাড়ে ৮ বছর না যাইতেই ছাড়া পাইল।’ আজ সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যদি জামিন না পাইতো, তাহলে তো পালাইতে পারতো না।’
২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর এক প্রতিবেশীর একই বয়সী মেয়ের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরদিন শিশুটিকে তার বাড়ির কাছে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুটির প্রজনন অঙ্গ, মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকার ক্ষত ছিল। শিশুটির বাবা ওই বছর ২০ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশী সাইফুল ইসলামকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি আলোচিত হয়। বিচারে সাইফুল ইসলামের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঘটনার ৮ বছর ৪ মাস পর ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা এক আবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট সাইফুল ইসলামের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, আসামির জামিন হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন করে। শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত গত ৫ মার্চ আদেশ দেন। তাতে হাইকোর্ট থেকে দেওয়া আসামি সাইফুল ইসলামের জামিন আদেশের ওপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা আজ প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৫ দিন ধরে সাইফুল ইসলাম এলাকায় নেই। জামিন বাতিলের খবর পেয়ে সাইফুল ইসলাম পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবর্তীপুর থানায় যোগাযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি জামিন পাওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় থানা থেকে শিশুটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ওই সময় আসামি এলাকায় ছিলেন। এখন আসামি এলাকায় নেই। আসামির জামিন বাতিল ও গ্রেপ্তারের আদেশ তাঁরা পাননি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেলে তাঁরা আসামির খোঁজে পদক্ষেপ নেবেন।
বেসরকারি সংগঠন ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক প্রথম আলোকে বলেন, জামিন বাতিলের পর আসামি ধরা কঠিন। অনেক ঘটনায় দেখা গেছে, এ ধরনের আসামিরা অন্য পরিচয়ে আবার অপরাধ করছে। ক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন পুলিশ প্রশাসনকে আসামি ধরতে অনেক তৎপর হতে হবে। থানায় থানায় আসামির ছবি টাঙিয়ে দেওয়া উচিত।
জিনাত আরা হক বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ‘আমরাই পারি’সহ ছয়টি সংগঠন ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছিল। অনেক দিন ছোটাছুটি করে মামলার রায় পাওয়া গিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় জামিন হওয়া কখনো উচিত নয়। এতে করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে।