এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ১৩ জন।
শনিবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন রোগী।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে শিবির নেতার মৃত্যু
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭০
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গজনি: সঞ্জয়ের আসল পরিচয় না জেনেই কেন মারা যান কল্পনা?
এ আর মুরুগাদোস নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘গজনি’। ২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এটি। সিনেমাটিতে সঞ্জয় সিংহানিয়া চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। আর তার প্রেমিকা কল্পনা চরিত্রে অভিনয় করেন অসিন।
ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় সঞ্জয়ের সামনে গজনির হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন কল্পনা। ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয় মডেল কল্পনার প্রেমে পড়েন। সঞ্জয়ের আসল পরিচয় জানতেন না কল্পনা। বরং তাকে সচীন নামে চিনতেন। সর্বশেষ সঞ্জয়ের আসল পরিচয় না জেনেই মারা যান কল্পনা। এটা কেন করলেন পরিচালক? এ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনো হয়। কিন্তু পরিচালক এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন এ আর মুরুগাদোস।
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে এ আর মুরুগাদোস নির্মিত ‘সিকান্দার’ সিনেমা। এ নিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এই আলাপচারিতায় উঠে আসে ‘গজনি’ সিনেমার প্রসঙ্গ। সেখানে কথা বলেন তিনি।
এ আর মুরুগাদোস বলেন, “আমি যখন চিত্রনাট্য লিখছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, ‘কল্পনা যদি জানতে পারে সেই আসল সঞ্জয়, তাহলে সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে?’ তারপর আমার মনে হয়, চিত্রনাট্যে এই ছোট্ট সংযোজন গজনির প্রতি সঞ্জয়ের প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেবে।”
সিনেমায় গজনির হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ার আগে কল্পনা সঞ্জয়কে টাকাও দেয়। কল্পনার অভিব্যক্তি সঞ্জয় অর্থাৎ আমির খানকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। দর্শকদের আবেগ-অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পরিচালক নির্দোষ কল্পনাকে ‘যন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
পরিচালক এ আর মুরুগাদোস বলেন, “নিজের পরিচয় নিয়ে কল্পনাকে অনেক কিছু বলার ছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু তা করতে পারেননি। কারণ সঞ্জয় বলার আগেই কল্পনা কেবল মারাই যাননি, বরং সেই ঘটনার পর ‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’ হয়। এই দুটি জিনিস তার প্রতিশোধ নেওয়ার আবেগকে আরো উসকে দেয় এবং এটিকে বাস্তবে রূপ দেন।”
আমির খানের পরিচয় জানতে না পারা গল্পে ধোঁয়াশা তৈরি করে। এ বিষয়ে নির্মাতা এ আর মুরুগাদোস বলেন, “কল্পনা যদি আমির খানের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারতেন, তাহলে এই দৃশ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম না। সিনেমাটি মুক্তির পর ১৬ বছর কেটে গেছে। অথচ এখনো এ নিয়ে আলোচনা হয়। একজন লেখক-পরিচালক হিসেবে এটিকে একটি ভালো কাজ হিসেবেই দেখি।”
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত