রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করে জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সাত সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট এম. এ. আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন: মো.

আরাফ ইব্রাহীম, মো. জুবায়ের, নিশান, সাকিব হাসান, জাবেদ, আবরার ও মাহফুজুল হাসান।

ধানমন্ডি মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. বাশার রিমান্ড বিষয়ে রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দিয়েছেন।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ইনভেস্টিগেশন বিভাগের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক মো. শাহীনুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। 

শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এরআগে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল শেষে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ধানমন্ডির বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসামরিা ছাড়াও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ব্যানারে প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ জন ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

এসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা মিরপুর রোড হয়ে মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ক্লাব মাঠের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলের সময় হিযবুত তাহরীর সদস্যরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অন্তবর্তীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এর ফলে রাস্তায় তীব্র যানজট এবং পথচারীদের মধ্যে ব্যাপক ভীতির সঞ্চার হয়। মিছিল ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে তারা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান।

ঢাকা/মামুন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে টেসলার একটি ডিলারশিপের বাইরে গতকাল শনিবার শ খানেক বিক্ষোভকারী প্ল্যাকার্ড হাতে নেচেগেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাঁটাই করছেন। সরকারের ব্যয় হ্রাস করতে ট্রাম্প প্রশাসন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে নতুন একটি বিভাগ খুলেছেন। এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন ইলন মাস্ক।

মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই এরই মধ্যে এক লাখের বেশি ফেডারেল কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০ লাখের বেশি বেসামরিক ফেডারেল কর্মী রয়েছেন।

আরও পড়ুনট্রাম্পের সরকারে ইলন মাস্কের এত ক্ষমতা কি বিপদের০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ ছাড়া ডিওজিই বিদেশে ত্রাণ তহবিল পাঠানো আটকে দিয়েছে, বাতিল করেছে কয়েক হাজার প্রকল্প ও চুক্তি।

ওয়াশিংটনে টেসলার ডিলারশিপের বাইরে বিক্ষোভ করতে আসা মেলিসা নটসন বলেছেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে বেরিয়ে আসছি এবং অন্যদের দেখাতে চাইছি যে তাঁরা একা নন। ’

লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি শহরেও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

আরও পড়ুনমন্ত্রিসভার উত্তপ্ত বৈঠক: ট্রাম্প কি মাস্কের লাগাম টেনে ধরছেন০৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ