মুক্তি নাকি সর্বনাশ, রুনার জন্য কী অপেক্ষা করছে
Published: 22nd, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে শোবিজ অঙ্গন। একে একে মুক্তির ঘোষণা আসছে সিনেমার, যা নিয়ে দর্শকেরাও বেশ আনন্দিত। এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’। মুখ্য চরিত্রে এটিই জয়া আহসানের প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজ।
‘জিম্মি’ নিমাণ করেছেন আশফাক নিপুন। এর আগে ‘মহানগর’ নির্মাণ করে দর্শকমহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেছিলেন তিনি। নিপুনের পরিচালিত ‘জিম্মি’ সিরিজের ট্রেলার এসেছে আজ। এতে দেখা গেলো ভিন্ন এক জয়াকে। সেই সঙ্গে একঝলক দেখা দিলেন অভিনেতা ইরেশ জাকের, শাহরিয়ার নাজিম জয়, শিবলু মৃধাসহ আরও অনেকে।
জয়া আহসান সমকালকে জানালেন, ঈদে তাঁর অভিনীত ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটি সামাজিক, হিউমারধর্মী এবং বাস্তবসম্মত গল্প। এই গল্পে এমন কিছু বিষয় আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। যদিও গল্পটি কোনো শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়, তবুও এতে কিছু ঘটনাপ্রবাহ আছে– যা দর্শকদের সচেতন করবে এবং জীবন সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে।
জয় বলেন, “নাটক, সিনেমা বা ওটিটি যে কোনো গল্পেই চরিত্রের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, যা অনেকেই অবহেলা করেন। এর আগে অন্তরাতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেলেও ‘জিম্মি’ বাংলাদেশে অভিনয় করা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ, নিপুনের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, দারুণ এক গল্পের সিরিজ। সব দিক থেকে এটি আমার কাছে স্পেশাল।”
এর আগে সিরিজটি নিয়ে আশফাক নিপুন বলেন, “আমি জিম্মি নির্মাণের মাধ্যমে নতুন রকমের গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এই সিরিজে সামাজিক বাস্তবতা, মানবিক অনুভূতি ও বিনোদনের মেলবন্ধন রয়েছে। এইটুকু বলতে পারি, দর্শক অবশ্যই নতুন কিছু উপভোগ করবে।”
এদিকে আজ সামাজিক মাধ্যমে ট্রেলার প্রকাশ করে জয়া বলেন, “একটা সাধারণ জীবন, একটা সাধারণ স্বপ্ন, একটা মধ্যবিত্ত মেয়ে… আর এক রহস্যময় বাক্স, যা বদলে দিল সব! রুনা লায়লার জন্যে কী অপেক্ষা করছে? মুক্তি নাকি সর্বনাশ?”
অপেক্ষা মাত্র আর কিছু দিনের। ঈদ উপলক্ষে ২৮ মার্চ হইচই-তে আসছে ‘জিম্মি’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’