কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক  জাহিদ হাসান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবু রায়হানসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা।

তারা বলেন, কুমেক হাসপাতালে এর আগে কয়েকবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু  হাসপাতাল প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনাসহ হাসপাতালের পরিচালককে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। 

এ বিষয়ে কুমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা.

মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রাতে কারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে তা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ শনাক্ত করতে পারবে৷  কারণ ওই সময় মারা যাওয়া রোগী পক্ষেরও অনেক লোকজনও হাসপাতালে ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়ে থাকলে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। 

শুক্রবার রাতে ভুল চিকিৎসায় পারুল বেগম (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন চারজন সাংবাদিক। একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আহত সাংবাদিকদের। আহতরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিক ইসলাম খোকন চৌধুরী, ক্যামেরা পারসন সাকিব, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন আমতলীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করা এক ছাত্রী। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনের পরদিন গত মঙ্গলবার এটি থানায় নথিভুক্ত হয়।

এদিকে মামলাটি ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ দাবি করে প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আমতলীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ইমরান খানের দাবি, ওই ছাত্রী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী সেজে নানা অপকর্ম করছেন। অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ধর্ষণের হুমকির মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।

এ বিষয় ওই ছাত্রী প্রথম আলোকে জানান, তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের একটি পদে ছিলেন। ১৫ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে সেই পদ থেকে পদত্যাগ করে আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তি ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারী আমতলীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন ইমরান খান। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামি তাঁর (ছাত্রী) ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরও রাজি না হওয়ায় ইমরান তাঁর ফেসবুক থেকে তাঁর নামে ধর্ষণের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছাত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে আবার ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত রোববার ইফতার শেষে মাগরিবের নামাজের পর আমতলী চৌরাস্তার মাছবাজার থেকে মাছ কিনে রিকশায় ফেরার পথে পৌরসভার পল্লবী রোডের এ কে স্কুলের সামনে পাকা সড়কে আসামি একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গতিরোধ করেন এবং তাঁকে শ্লীলতাহানি করে মোটরসাইকেলে ওঠানোর চেষ্টা করেন। রিকশাচালক ও তাঁর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাধা দিলে আসামি তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন। এ সময় ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।

জানতে চাইলে মামলার বাদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিষয়টি আমি নাহিদ ভাইকে (জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক) জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাকে ছাত্রলীগের নেতা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। আমি আগে ছাত্রলীগ করতাম। ১৫ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ওই নেত্রী আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী সেজে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকির মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেছেন। মামলায় অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকির যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। এ ঘটনায় তাঁর দলের বহিষ্কৃত নেতাদের ইন্ধন আছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই নেত্রীর সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক ছিল। আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ওই নেত্রীর নামে নানা পোস্ট করা হয়েছে। বিষয়টি আমি তখন আমতলী থানার ওসিকে জানিয়েছি।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার নথি হাতে পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝিনাইদহে ৫ দাবিতে মউশিক শিক্ষকদের মানববন্ধন
  • আদিবাসী ছাত্রীর মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের দাবি
  • বরগুনায় ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
  • আ. লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ
  • বাঘায় দুর্নীতি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জামায়াতের মানববন্ধন, বিএনপির হামলা
  • প্রয়োজনে আবারও জুলাই বিপ্লব হবে, তবুও আ. লীগের পুনর্বাসন মানবো না
  • শ্রীপুরে ২৫ শিক্ষক আসামি, নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন 
  • গণ-অভ্যুত্থানের পর শ্রীপুরে ২৪ শিক্ষকের নামে হত্যা মামলা, প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন
  • গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে জবিশিসের মানববন্ধন