ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 22nd, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে।
এনায়েতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল বলেন, নিহত কবিরের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে শনিবার মামলাটি করেন। এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জু শিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, থানা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক শিকদার, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহাগ শিকদার, কৃষক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাবেদ আলীসহ অনেকে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সাবেক এমপি মেজর (অব.
গত বুধবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেনের (২৮) মৃত্যু হয়। তিনি চাঁদপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে এবং সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল ও একই কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জু শিকদারের সব পদ স্থগিত করেছেন জেলার নেতারা। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এখনও প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ছ ত রদল ন ত ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র ছ ত রদল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপি নেতা নিহত
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ (৫৫)। তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন রশিদ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অমিত হাসান। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা। কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।
নিহত রশিদের ভাতিজা জাহেদ হাসান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় একটি পুকুরপাড়ে তাঁর চাচা আবদুর রশিদের সঙ্গে অমিত হাসানের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে অমিত হাসান ও তাঁর বড় ভাই কামরুল হাসান লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আবদুর রশিদকে আহত করেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এখলাছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত আবদুর রশিদ ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতার নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে অমিত হাসানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুল হাসানকে আটক করেছে। অমিত হাসানকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।