কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পাশের একটি পাহাড়ে আগুন লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন আনসার সদস্য সবুজ গাছের ডালপালা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মুসলেম উদ্দিন মিয়াজি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে আগুন ছড়ানোর মতো কোনো দ্রব্য বা জনসমাগম ছিল না। তাই আগুনের মূল উৎস নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করা যায় ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা বা বিড়ি-সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেটের আহবায়ক আখতার গ্রেপ্তার
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ইফতারে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) ভোরে সিলেট জালালাবাদ থানার আউশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আখতার হোসেন ওই এলাকার আব্দুল মুনিরের ছেলে। আজই (রবিবার) তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিলেট জেলা নগরীর একটি কনভেনশন হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমান শান্ত নামের সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে এই ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় শান্ত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, “আখতার ওই মামলার তিন নম্বর আসামি। এই মামলায় আরও একাধিক এজাহার নামীয় আসামি রয়েছেন। আখতারকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/নুর/টিপু