নাটোরের সিংড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের কুমিড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার।

জানা যায়, উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের উপর-কুমিড়া মৌজায় ২.৮৬ একর সরকারি ১নং খাস পুকুরের মধ্যে ৩ শতক জায়গা দখল করে দুই তলার ভিত্তি দিয়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছিলেন মো.

সাহিনুর ইসলাম। বিষয়টি জানার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার।

সাহিনুর ইসলাম কুমিড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে। 

সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার বলেন, “উপজেলার কুমিড়া গ্রামে একজন ব্যক্তি সরকারি পুকুর দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি জানার পর সেখানে উপস্থিত হয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/আরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক সংকটে জর্জরিত। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার ‘সার্বিক বিনিয়োগ বাড়ানোর’ অঙ্গীকার করলেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প খাতকে চাপের মুখে ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বীকার করেছে, তারা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট অর্থনৈতিক বা রাজস্বভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাজস্ব চাহিদা’ বিবেচনা না করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সরকারের প্রতিশ্রুত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।

এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প খাতসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করা, জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, ‘নতুন’ ও ‘পুরোনো’ শিল্পের মধ্যে বৈষম্য দূর করে একই মূল্যনীতি চালু করা এবং ভবিষ্যতে কোনো নীতি প্রণয়নের আগে সব স্তরের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ