রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় মিছিল করায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মোছা. লাবনী চৌধুরীসহ তিন জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।  

রিমান্ডে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- মো.

রাজু আহমেদ এবং মো. সিরাজুল ইসলাম। 

এর আগে ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। 

শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গতকাল ২১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের একটি মিছিল বের হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে গতকাল ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুষ্কৃতিকারীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লেখা ব্যানারে শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও প্রহসনের বিচার মানি না, মানবো না বলে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। 

এ ছাড়াও আরো উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কর্মকাণ্ডের গতিশীল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি ও নিষিদ্ধ সত্তার সমর্থনসহ তাদের কর্মকাণ্ডকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে ওই সংগঠনকে সমর্থন করে, স্বাধীন রাষ্ট্রের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে সম্পৃক্ত থেকে একে অপরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের ব্যানার তৈরি করে অপরাধের ষড়যন্ত্রসহ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপরাধ করেছে।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৯৭১–এর সঙ্গে ২০২৪–কে এক কাতারে আনা সমুচিত মনে করে না বিএনপি

সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তনের সুপারিশের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, সুপারিশে ১৯৭১২০২৪ সালেকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটি তারা সমুচিত বলে মনে করে না। রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে না দলটি।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে দলীয় মতামত জমা দেয় বিএনপি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা স্পেটশিটে উল্লেখ করা হয়নি। এটি উচিত ছিল। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রস্তাবনা। সেটি পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকটা পুনর্লিখনের মতো। সেখানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটা সমুচিত বলে বিএনপি মনে করে না। এটাকে অন্য জায়গায় রাখা বা সংবিধানের তফসিল অংশে রাখার বিভিন্ন রকম সুযোগ আছে। সেটা আলোচনা করে করা যাবে। বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনের আগের অবস্থায় যে প্রস্তাবনা ছিল, সেটির পক্ষে।

সংবিধানে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিসের (চর্চা) মাধ্যমে রাষ্ট্রের নাম মেনে নিয়েছে। এটা নিয়ে কতটুকু অর্জন হবে, তা প্রশ্নের দাবি রাখে। এ বিষয়ে বিএনপি একমত নয়।

সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করে বিএনপি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জন্য সংসদীয় কমিটির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, বিএনপি সেটির সঙ্গেও একমত নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ