রূপগঞ্জে জমি না কিনে জোরপূর্বক বালু ভরাট করে দখলে নেয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমি মালিক ও এলাকাবাসী। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়ন মুশরি (চোরাব) এলাকায় বরাটকৃত জমি সংলগ্ন সড়কে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী।

জমি মালিক মনোরঞ্জন বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন মুশরি মৌজায় এস এ ১০ নং দাগ যাহার আরএস ২৫ নং দাগটি ক্রয় সূত্রে আমরা মালিক হয়ে খারিজ করত সরকারের জমাবাগ খাজনাদি পরিশোধ করিয়া এযাবত কালে বোগ দখলে আছি। 

ইউফুস নামিয় কতিপয় ব্যাক্তি আরএস ২৬ নং দাগে সম্পত্তি ক্রয় করে আমাদের ভোগদখলীয় ২৫ নং দাগের সম্পত্তি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে জোর পূর্বক বালু দিয়ে ভরাট করছে। 
আমরা বাধা দিলে আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালআদালতে একটি পিটিশন মামলা দেয়া হয়েছে। যাহার পেক্ষিতে অত্র জমিতে ১৪৫ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু ইউসুফ বাহিনি আইনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আদারে বালিভরাট কাজ অব্যাহত রেখেছে।

সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন, টানমুশরি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মোবারক হোসেন, বাচ্চু ভূইয়া, হাসেন আলী, রিতা রানী সরকার, শিমুল প্রমুখ। 

রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, এই বিষয়ে ভুক্তভোগীরা নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন।

আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৫ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তী শুনানিতে উভয় পক্ষের মালিকানা প্রমানে প্রয়োজনিয় কাগজপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষুব্দ হয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি

নারায়ণগঞ্জে যুবদলের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ও সামর্থ্যহীনদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে ক্ষুব্দ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।  

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর ক্ষুব্দ হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তিনি। পরে তাকে ম্যানেজ করে অনুষ্ঠানস্থলে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেন আয়োজকরা। 

সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনুষ্ঠানকে ঘিরে একদিন আগে থেকে পুরো বিদ্যালয় এলাকা দলীয় ব্যানার ফেস্টুন ও ছবি দিয়ে ভরে ফেলেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানকে ঘিরে শৃঙ্খলা রক্ষায় নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিশেষ পোশাকসহ নিয়োজিত করেন। 

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতির গাড়ির পাশে থাকা একাধিক নেতা জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতি মূলত চেয়েছিলেন যেহেতু তারেক রহমানের ঈদ উপহার পৌছে দেয়া হয়ে তাই প্রান্তিক স্থানে অনুষ্ঠানটি হোক বা কোন খোলা স্থানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন হোক। তবে তিনি এখানে এসে দেখেন একটি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে স্কুল ঢেকে ফেলা হয়েছে। 

স্কুলে যুবদলের কিছু নেতাকর্মী বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক পোশাকের পাশাপাশি ওয়াকিটকি ব্যবহার করছেন। সবকিছু মিলিয়ে স্কুলের ভেতরে তার গাড়ি প্রবেশের সময় তিনি স্কুলে অনুষ্ঠানে না গিয়ে ক্ষুব্দ হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান। 

জানা যায়, পুরো স্কুলের সকল ব্যানার ফেস্টুনে শুধুমাত্র জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নাম ছিল। স্কুলে আয়োজনের মূল পরিকল্পনাও ছিল রনির তাই তার উপরও ক্ষুব্দ হন কেন্দ্রীয় সভাপতি।

পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে চলে গেলে সেখানে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি তার কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাকে অনুরোধ করেন অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে যেতে।

ক্ষুব্ধ যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সেখান থেকে প্রায় দুই ঘন্টা পরে পুনরায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। সেখানে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম অনুষ্ঠানটি প্রত্যন্ত এলাকায় করতে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে তারেক রহমানের উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে কিন্তু এখানে এসে দেখি শহরে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে। আমার জন্য অনেকক্ষু আপনাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে এজন্য আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে উপস্থিত একাধিক যুবদল নেতা জানান, যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির উপর প্রচন্ড ক্ষোভ ঝাড়েন এবং এই উপহার সামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মশিউর রনির চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চান।

এ সময় মশিউর রহমান রনি নানাভাবে বুঝিয়ে যুবদল সভাপতিরে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং এজন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওত হোসেন খানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসেন। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত যুবদল সভাপতিকে অনেকক্ষু বুঝিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন একাধিক যুবদল নেতা।

এদিকে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না রাগ করে চলে যাওয়া এবং ফিরে আসার এই নাটকীয় ঘটনার কারণে উপহার নিতে আসা গরিব অসহায় মানুষগুলোকে প্রায় দুই ঘন্টা অতিরিক্ত সেখানে বসে থাকতে হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ বিষয়ে যুবদল সভাপতি মুন্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে দ্রুত অনুষ্ঠানিস্থল ত্যাগ করেন। তখন স্থানীয় সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায় "তারা ক্ষমতায় আসার আগেই এগারোটার ট্রেন একটায় ছাড়ে, ক্ষমতায় আসলে না জানি কখন ছাড়বে!
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জ জেলার মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনের দোয়া  ও ইফতার মাহফিল
  • সিদ্ধিরগঞ্জে খেলাফত আন্দোলনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মরণে বর্ণ সাহিত্যপত্রের মোড়ক উন্মোচন
  • গোপনে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা করলেও কারও ক্ষমা নেই: যুবদল সভাপতি
  • ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
  • ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে শহরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
  • ৩নং মৎস্য ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল অনু‌ষ্ঠিত
  • সিদ্ধিরগঞ্জে হিফজুল কোরআন ও কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা
  • ক্ষুব্দ হয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি