আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর এনসিপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘কোনো শান্তিপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়নি। হাজারো মানুষের রাজপথ ভেজানো রক্তের মধ্য দিয়ে এই খুনি-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। আমাদের পুনর্জন্ম হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে আমরা পুনর্বাসিত হতে দেব না। বাংলাদেশে যতবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবার সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।’

দেশের মানুষ জীবন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হলো সাত মাস পেরিয়ে গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ব্যাপারে কোনো বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আওয়ামী লীগের নামে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না। অল্প সময়ের মধ্যে নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা মহানগর শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন বল র জন ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএনওর সামনে কর্মচারীদের মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা

দিনাজপুরের বিরামপুরে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে ঘটনাটি ঘটে। এসময় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিরামপুর থানার ওসি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বিষষটি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন।

আরো পড়ুন:

শিশুকে ‌‘ধর্ষণ’, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ

জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ

আহতরা হলেন- উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক এমদাদুল হক, আবু হোসেন, ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। তাদের মধ্যে এমদাদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভেতর মুক্তমঞ্চে চলছিল। উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর কয়েকজন কর্মচারী আমন্ত্রিত অতিথিদের পান্তা, মাছ, ভর্তা ও পানি বিতরণ করছিলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীরা খাবার নিয়ে বাকবিতাণ্ড শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা সবার সামনে ওই তিন কর্মচারীকে মারধর করে আহত করেন।

ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম রনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অতিথিদের জন্য পান্তা উৎসব শুরু করার জন্য আমরা কয়েকজন নিয়োজিত ছিলাম। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নিজেই খাবার নিতে শুরু করেন। আমরা বাঁধা দিলে ওই নেতা ও তার সহযোগীরা আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।”

অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল বলেন, “ভাই আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। একটা চড় মেরেছি। খাবার বিতরণের অনিয়ম ও সিনিয়র নেতাদের অপমান করায় এমনটি হয়েছে। আমার ভুল হয়েছে।”

বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল বলেন, “এমন অনুষ্ঠানে এ ধরনের আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এমন আচরণের পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।”

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শফিকুল আলম মামুন বলেন, “আপনি সামনাসামনি আসেন, মোবাইলে নয়।”

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, “এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, “বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাজার লোকের আয়োজন ছিল। এমন অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত তিন কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ